‘এত নম্বর কম কেন!’ একাদশে ভর্তি বিভ্রাটের জেরে সিস্টার নিবেদিতা স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
Madhyamik Examination: অভিভাবকদের অভিযোগ, মধ্য়শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম মেনে এই স্কুলে যেহেতু খাতা দেখা হয় না, তাই নবম থেকে দশমে ওঠা পড়ুয়ারা অন্যান্যদের থেকে অনেক কম নম্বর পেয়েছেন। ফলে কমেছে গড় নম্বর
কলকাতা: গতকালই প্রকাশ হয়েছে মাধ্যমিকের (Madhyamik) ফলাফল। অতিমারীর আবহে, বদল হয়েছে পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও। এ বছর পাশের হার ১০০ শতাংশ। প্রায় সাড়ে বারো লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভর্তি যখন অনিশ্চিত, তখন নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগে বাগবাজারের রামকৃষ্ণ সারদা মিশন ভগিনী নিবেদিতা গার্লস স্কুলে শিক্ষকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন অভিভাবকেরা।
স্কুল পড়ুয়া ও অভিভাবকদের অভিযোগ, বরাবরই মধ্য শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম না মেনে স্কুল কমিটির নিজস্ব নিয়মেই চলে পরীক্ষা, খাতা দেখা, ফলাফল প্রকাশ। এ বছর, অতিমারীর জেরে মাধ্য়মিক পরীক্ষা হয়নি। বদলে, নবম শ্রেণির পরীক্ষার গড় ও দশম শ্রেণিতে স্কুলের ইন্টারনাল ফর্মেটিভ ইভ্যালুয়েশনের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই মাধ্য়মিকের মার্কশিট তৈরি হয়েছে। নবম শ্রেণিতে যেহেতু স্কুল তার নিজস্ব নিয়মে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে ফলে মাধ্য়মিকের মার্কশিটে কমে গিয়েছে মোট প্রাপ্ত নম্বর এমনটাই অভিযোগ। অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, মধ্য়শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম মেনে এই স্কুলে যেহেতু খাতা দেখা হয় না, তাই নবম থেকে দশমে ওঠা পড়ুয়ারা অন্যান্যদের থেকে অনেক কম নম্বর পেয়েছেন। ফলে কমেছে গড় নম্বর। আর এর জেরেই অন্য স্কুলে একাদশে ভর্তি হতে পারছেন না পড়ুয়ারা।
এক অভিভাবকের কথায়, “এই স্কুলে এবছর ১০৫ জন পরীক্ষা দিয়েছে। সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর হচ্ছে ৬৩৬। এত কম নম্বরের কারণ, ক্লাস নাইনে এত চেপে খাতা দেখা হয়েছে যে নম্বরই ওঠেনি। আমাদের মেয়েরা কেউ এতটাও খারাপ নয় যে এত কম নম্বর পাবে! তাহলে এত কম নম্বর কেন? এই স্কুলে বোর্ডের কোনও নিয়ম মানা হয় না। আজ আমাদের মেয়েরা এই কম নম্বরের জন্য কোথাও ভর্তি হতে পারছে না। তাহলে আমরা কী করব? কোথায় যাব?”
বুধবার স্কুলচত্বরেই প্রায় ২০০ জন অভিভাবক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, এই বছর মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ। গত বছর লকডাউনের আগেই শেষ হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। গত বছর ১০,০৩,৬৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণের সংখ্যা ছিল ৮,৪৩,৩০। অর্থাত্, পাশের হার ছিল ৮৬.৩৪ শতাংশ। ২০১৯-এর মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৮৬.০৭ শতাংশ। অর্থাত্ ২০২০ থেকে ২০২১-এর মধ্যে পাশের হার একধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে ১৪ শতাংশ। ফলে একাদশে ভর্তি নিয়েও দেখা গিয়েছে অনিশ্চয়তা। আরও পড়ুন: ভর্তি অনিশ্চিত, উচ্চশিক্ষাও! মাধ্যমিকের ফলেই ‘কাঁটা’ বলছে শিক্ষকমহল