HS Result 2021: পাশের হার বাড়লেও সার্বিক মান কমেছে, ‘ও’ গ্রেডে পাশের সংখ্যা গতবারের তুলনায় তিন গুণ কম

Higher secondary 2021: ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর পাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা এবার অনেকটাই কম।

HS Result 2021: পাশের হার বাড়লেও সার্বিক মান কমেছে, 'ও' গ্রেডে পাশের সংখ্যা গতবারের তুলনায় তিন গুণ কম
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2021 | 4:35 PM

কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল বৃহস্পতিবার। মেধা তালিকা প্রকাশিত না হলেও গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার অনেকটাই বেড়েছে। তবে সার্বিক ফলাফলের ভিত্তিতে গতবারের তুলনায় এবারের ফলাফল ততটাও আশাব্যঞ্জক নয়। যেহেতু এবার পরীক্ষা হয়নি, পূর্ববর্তী পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল প্রকাশ হচ্ছে। মনে করা হয়েছিল নম্বর বাড়তে পারে। কিন্তু এদিন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের ঘোষণার পর দেখা গেল উল্টোটাই হয়েছে।

গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৯০.১৩ শতাংশ। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৬৯ শতাংশে। কিন্তু পাশের হার বাড়লেও গ্রেডেশনের ভিত্তিতে গত বছরের সঙ্গে এ বারের নম্বরের তুল্যমূল্য বিচার করলে দেখা যাচ্ছে একাধিক গ্রেডে নম্বরের পারদ হু হু করে নেমেছে। যেমন গত বছর ‘ও’ গ্রেডে ( প্রাপ্ত নম্বর ৯০-১০০ শতাংশ) পাশ করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় এবারের কৃতকার্যের সংখ্যা তিন গুণেরও অধিক কম। ২০২০তে ৩০ হাজার ২২০ জন ‘ও’ গ্রেডে পাশ করেছিলেন। এ বছর মাত্র ৯ হাজার ১৩ জন ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ পেয়েছেন।

‘এ প্লাস’ ( প্রাপ্ত নম্বর ৮০-৮৯ শতাংশ) গ্রেডের ক্ষেত্রেও পারদ পতন দেখা গিয়েছে। গত বছর ৮৪ হাজার ৭৪৬ জন এ প্লাস পেয়েছিলেন। এবার সেই সংখ্যাটা ৪৯ হাজার ৩৭০। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে সংখ্যাটা অনেকটাই কম। ‘এ’ গ্রেডের (প্রাপ্ত নম্বর ৭০-৭৯) ক্ষেত্রে খুব একটা না কমলেও তবু সংখ্যাটা নিম্নমুখীই। ২০২০ সালে ৯৬ হাজার ৮২৫ জন পড়ুয়া এ গ্রেড পেলেও এ বছর ৯৫ হাজার ৭৫৮ জন এ গ্রেড পেয়ে পাশ করেছেন।

তুলনায় ‘বি প্লাস’ (৬০-৬৯ শতাংশ) প্রাপ্ত পড়ুয়ার সংখ্যাটা কিছুটাা বেড়েছে। গত বছর ১ লক্ষ ১০ হাজার ২৬৫ জন বি প্লাস পেয়ে পাশ করেছিলেন। এবার ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৮৬ জন ৬০ শতাংশ থেকে ৬৯ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছেন। সার্বিক ফলাফলের মানটা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। তবে এর জন্য মেধার থেকে বেশি মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।

HS

এ বছর পরীক্ষার যে ফলাফল, তা একাদশের ফাইনাল পরীক্ষার নম্বর, প্র্যাকটিকালের নম্বর ও মাধ্যমিকের নম্বর যোগ করে তৈরি হয়েছে। পড়ুয়াদের অনেকেই মূল্যায়ন পদ্ধতি ঘোষণার পরই জানিয়েছিলেন, এ ভাবে মূল্যায়নে মেধা কিছুটা হলেও ধাক্কা খেতে পারে। ওই পড়ুয়াদের যুক্তি ছিল, একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা অনেকেই খুব গুরুত্ব দিয়ে দেন না। ফলে গ্রেড কমে যাওয়ার একটা আশঙ্কা অনেকেই করেছিলেন। ফল প্রকাশের পর সে ছবিই দেখা গেল। মাধ্যমিকে যেমন রেকর্ড পাশ, রেকর্ড নম্বর ছাত্র ছাত্রীর ঝুলিতে পড়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে উল্টোটাই হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২ জন। পাশ করেছেন ৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৮ জন। মোট পাশের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। ছেলে ও মেয়ের পাশের হার প্রায় সমান সমান। মেধা তালিকা প্রকাশিত না হলেও এখনও অবধি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের এক ছাত্রী। ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পেয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, ৪৯৯ পেয়ে শীর্ষে সংখ্যালঘু ছাত্রী