Panchayet Level Works: ভাঁড়ার সত্যিই কি শূন্য? এখনও ২,৩০০ কোটির বেশি খরচই করতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার: সূত্র
Panchayet: পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের হাতে জমেছিল প্রায় ৪ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। কিন্তু ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি হিসেব বলছে, এর মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকার মতো খরচ করতে পেরেছে।
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অতীতে মাঝে মধ্যেই বলতে শোনা গিয়েছে, ভাঁড়ার শূন্য। কিন্তু তাঁর সরকারেরই পঞ্চায়েত দফতরের হিসেব বলছে, রাজ্যের হাতে পঞ্চায়েত স্তরে খরচ করার জন্য এখনও অঢেল টাকা জমে রয়েছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি খরচই করতে পারেনি রাজ্য সরকার। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪৯.৫৪ শতাংশ টাকা খরচ করতে পেরেছে রাজ্য। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের হাতে জমেছিল প্রায় ৪ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। কিন্তু ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি হিসেব বলছে, এর মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকার মতো খরচ করতে পেরেছে। পড়ে রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকার মতো, শতাংশের নিরিখে যা ৫০ শতাংশেরও বেশি। এর মধ্যে আবার রয়েছে শর্তাধীন টাকাও। সূত্রের খবর, এই জমা টাকার মধ্যে আগের দুটি অর্থবর্ষেরও টাকা জমেছিল।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মূলত গ্রামোন্নয়নের কাজের জন্য কেন্দ্র থেকে এই টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের মাধ্যমে ব্যয় হয় রাজ্যে। প্রতিটি অর্থ কমিশনের মোট বরাদ্দ অর্থের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ খরচ করে অডিট রিপোর্ট দেখাতে পারলে, তবেই পরবর্তী কিস্তির টাকা আসে। কিন্তু এক্ষেত্রে পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এখনও ৫০ শতাংশের বেশি টাকা পড়ে রয়েছে।
২০২২-২৩ সালের জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান বলছে, কিছু কিছু জায়গায় ৫০ শতাংশ বা তার বেশি টাকা খরচ হলেও, অনেক জায়গাতেই তা হয়নি। যে জেলাগুলিতে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি কাজ হয়েছে সেই তালিকায় রয়েছে, হাওড়া, আলিপুরদুয়ার, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং উত্তর দিনাজপুর। কিন্তু বাকি জেলাগুলিতে কাজের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। সরকারি হিসেব বলছে, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, কোচবিহার, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ির মতো জেলাগুলিতে ৫০ শতাংশও কাজ হয়নি পঞ্চায়েত স্তরে।
কিন্তু কেন এই খামতি? প্রশাসনিক সূত্রে খবর, অনেক জায়গাতেই দেরিতে কাজ শুরু হওয়ার কারণে সব জায়গায় সমান তালে কাজ এগোয়নি। এমন অবস্থায় চলতি অর্থবর্ষের বাকি টাকা যাতে দ্রুত পঞ্চায়েত স্তরে খরচ হয়, তার উপর জোর দিচ্ছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। জেলাগুলিকে, বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলিতে কাজের গতি আরও বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।