VIRAL AUDIO: ‘আমি বীরুপাক্ষ বিশ্বাস! আমি কাউকে দু’বার ফোন করি না’, ইন্টার্নকে ‘খুনের’ হুমকি ‘বাহুবলী’ ডাক্তারের

VIRAL AUDIO: অভিযোগ, ফোন কলে কয়েক মাস আগে MCK এর একজন ইন্টার্নকে ফোন হুমকি দিয়েছিলেন বীরুপাক্ষ। বর্তমানে ভাইরাল হয়েছে সেই অডিয়ো ক্লিপ। অভিযোগ, MCK তে ‘থ্রেট কালচারের’ সঙ্গে জড়িত অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে কথা বলার অপরাধে ওই ইন্টার্নকে হুমকি দিয়েছেন বীরুপাক্ষ।

VIRAL AUDIO: ‘আমি বীরুপাক্ষ বিশ্বাস! আমি কাউকে দু'বার ফোন করি না’, ইন্টার্নকে 'খুনের' হুমকি 'বাহুবলী' ডাক্তারের
ভাইরাল অডিয়ো ঘিরে জোর শোরগোল Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Aug 31, 2024 | 4:58 PM

কলকাতা: কলেজে কলেজে ‘থ্রেট কালচার’। আরজি কর কাণ্ডের আবহে পর পর ভাইরাল একাধিক অডিয়ো। পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি তৃণমূল চিকিৎসক নেতার। ভাইরাল সেই অডিয়ো ক্লিপ ঘুরছে চিকিৎসকদের গ্রুপে গ্রুপে। সেখানে এক ইন্টার্নের সঙ্গে কথোপকথনের সময় চিকিৎসক নেতা বীরুপাক্ষ বিশ্বাসের গলা শোনা গিয়েছে বলে জুনিয়র চিকিৎসকদের। অভিযোগ অডিয়ো ক্লিপে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বীরুপাক্ষ। যদিও এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা।  

অভিযোগ, ফোন কলে কয়েক মাস আগে MCK এর একজন ইন্টার্নকে ফোন হুমকি দিয়েছিলেন বীরুপাক্ষ। বর্তমানে ভাইরাল হয়েছে সেই অডিয়ো ক্লিপ। অভিযোগ, MCK তে ‘থ্রেট কালচারের’ সঙ্গে জড়িত অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে কথা বলার অপরাধে ওই ইন্টার্নকে হুমকি দিয়েছেন বীরুপাক্ষ। অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করা হয় বলে অভিযোগ। সেখানে যে কণ্ঠ বীরুপাক্ষ বলে দাবি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা সেই কণ্ঠধারী এক ইন্টার্নকে রীতিমতো হুমকির সুরে বলছেন, “আমি বীরুপাক্ষ বিশ্বাস বলছি রে! নাম শুনেছিস? শুনবি শুনবি। ঠিক শুনবি। যেদিন ঢুকে সবাইকে হস্টেল থেকে তাড়িয়ে দেব সেদিন শুনবি।তুই যদি কথা না শুনিস আমি তোকে দু’বার ফোন করব না। আমি কাউকে দু’বার ফোন করি না।  আমি কে সেটা তোর প্রিন্সিপালকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে নিবি।” 

এখানেই না থেমে ছাত্রের উদ্দেশ্যে হুমকির সুর আরও চড়িয়ে বলেন, “ঠিকঠাকভাবে না থাকলে তোর রেজিস্ট্রেশন আটকে দেব। এটা আমার গ্যারান্টি। আমার নামে যদি অভিযোগ করতে চাস তাহলে আমার নামটা লিখে নে, ডাক্তার বিরুপাক্ষ বিশ্বাস। ৬০০ ছেলেকে নিয়ে গিয়ে তোর মেন বয়েস হস্টেলই তুলে দেব। এমনিই মরে যাবি। কেন করছিস এগুলো?”  

এই খবরটিও পড়ুন

প্রসঙ্গত, আরজি করের আবহে বারবার উঠে এসেছে ‘উত্তরবঙ্গ লবির’ নাম। এই গোষ্ঠীর মধ্যে থাকা চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এখানেও জড়িয়েছে বিরুপাক্ষ বিশ্বাস নামে এক ডাক্তারের নাম। আইএমএ-র প্রেস বিবৃতিতেও উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের পর আইএমএ-র ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা ‘উত্তরবঙ্গ লবির’ বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু, দক্ষিণবঙ্গের এক মহিলা অধ্যক্ষকে ‘উত্তরবঙ্গ লবির’ বীরুপাক্ষ বিশ্বাস নামে এক চিকিৎসক ফোনে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এই লবির নির্দেশেই নাকি হয় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের যাবতীয় কাজ। মোবাইল ল্যাপটপ নিয়ে পরীক্ষায় বসা, নম্বর বাড়ানো, পরীক্ষক পদ থেকে অপসারণ, বলপূর্বক অন্যত্র বদলি-সহ রয়েছে একাধিক অভিযোগ।