Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Explained: ইফতার-সরস্বতী পুজো-রামনবমী : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ধর্ম বিপ্লব’!

Explained: প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো নিয়েও কার্যত খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ক্যাম্পাসে। বছর দু’য়েক বাদে আবারও এক যুদ্ধেরই পরিস্থিতি। যাদবপুরে রাম নবমী পালনের আবেদন জানিয়েছিলেন বেশ কিছু পড়ুয়া।

Explained: ইফতার-সরস্বতী পুজো-রামনবমী : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ধর্ম বিপ্লব'!
রাজনৈতিক মহলে জোর তরজা Image Credit source: TV 9 Bangla GFX
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2025 | 12:52 PM

কলকাতা: কখনও ‘রাম কে নাম’ তথ্য় চিত্র দেখানো নিয়ে ঝামেলা, আবার কখনও রাম নবমী ঘিরে অশান্তি! বিগত কয়েক বছরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বারাবার ফিরে ফিরে এসেছে এই ছবি। এদিকে কয়েকদিন আগেই যাদবপুরে ইফতার পার্টির আয়োজনকে ঘিরে চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর কথা উঠলে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ ওঠে। আর এই সব ক্ষেত্রে ছদ্ম ধর্মনিরেপক্ষতা। এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিয়ো পোস্ট করে এই মর্মে তোপ দেগেছিলেন সুকান্ত।

এবার রাম নবমীর অনুমতি না পাওয়াতেও সেই একই সুর একাংশের পড়ুয়াদের মধ্যে। হুঙ্কারের সুরেই তাঁরা স্পষ্ট বলেছিলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকলেও ক্যাম্পাসে রাম নবমীর উদযাপন হবেই। পাল্টা এসএফআই সুর চড়িয়ে বলেছিল, সাম্প্রদায়িকতার বিষ উপড়ে ফেলতে তাঁরা রাস্তায় থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় রাম নবমী পালনের জায়গা নয়। সব মিলিয়ে রাম নবমীকে কেন্দ্র করে যাদবপুরে যেন রাজনীতির ধর্মযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বিগত কয়েকদিনে। শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এদিন ক্যাম্পাসে রামের পুজো করতে দেখা গেল একদল পড়ুয়াকে। এল বিগ্রহ। উড়ল ‘জয় শ্রী রামের’ নামাঙ্কিত গেরুয়া পতাকা। যা সাম্প্রতিক অতীতে যাদবপুরে কবে দেখা গিয়েছে মনে করতে পারছেন না কেউই। 

প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো নিয়েও কার্যত খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ক্যাম্পাসে। বছর দু’য়েক বাদে আবারও এক যুদ্ধেরই পরিস্থিতি। যাদবপুরে রাম নবমী পালনের আবেদন জানিয়েছিলেন বেশ কিছু পড়ুয়া। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা নাকচ করে জানায় উপাচার্য না থাকায় অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই যুক্তি মানতে নারাজ এবিভিপি। এবিভিপির মিডিয়া কনভেনর পাল বলছেন, “ভিসি নেই বলে ওনারা বলছেন অনুমতি দিতে পারছেন না। কিন্তু আমাদের বক্তব্য, ভিসি নেই বলে কী বিশ্ববিদ্য়ালয় চলছে না!”  

সংঘাতে এবিভিপি-এসএফআই 

রবিবার সকাল থেকে টেকনলোজি ভবনের সামনেই শুরু হয়ে যায় রাম পুজো। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই পডুয়া নিখিল দাস বলছেন, “এটা একটা কমন প্রোগ্রাম। সকলে আসুন। প্রসাদ খেয়ে যান।” অন্যদিকে এসএফআই নেতা প্রণয় কারজি বলছেন তাঁরাও প্রস্তুত। হুঙ্কারের সুরেই বললেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার জায়গা। সেটা রাম নবমী করার জায়গা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ যাঁরা ছড়াতে আসবে তাঁদের বিরুদ্ধে রাস্তায় বুঝে নেওয়ার জন্য এসএফআই তৈরি থাকবে।” অন্যদিকে এবিভিপি নেতা দেবাঞ্জন পাল বলছেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তো পশ্চিমবঙ্গের আলাদা নয়। যাদবপুরে যদি ইফতার পার্টি হতে পারে, সরস্বতী পুজোর মতো উৎসব ধুমধাম করে পালন করা হতে পারে তাহলে রাম নবমী করতে সমস্যা কোথায়?” অন্যদিকে রামনবমী পালনের জন্য আগেই এবিভিপি-র তরফে যাদবপুর থানায় অনুমতিও চেয়েছে বলে খবর।