Naushad Siddiqui: একের পর এক মামলা, হাইকোর্টে জামিনের আবেদন নওশাদ সিদ্দিকীর
Naushad Siddiqui: আগে নিম্ন আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক। এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন।
কলকাতা : নওশাদ সিদ্দিকীর (Naushad Siddiqi) গ্রেফতারির প্রায় এক মাস পার হয়ে গিয়েছে। ২১ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে একের পর এক মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কখনও পুলিশ হেফাজতে, কখনও জেল হেফাজতে থাকছেন আইএসএফ (ISF) বিধায়ক। এবার কলকাতা হাইকোর্টের জামিনের আর্জি জানালেন নওশাদ। শুক্রবারই সেই আবেদন জানানো হয়েছে বিধায়কের তরফে। এর আগে নিম্ন আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি, তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা কেন হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি।
গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের অশান্তির জের পৌঁছয় ধর্মতলায়। আইএসএফের কর্মী-সমর্থকেরা পথ অবরোধ শুরু করলে তাঁদের সরাতে যায় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে নওশাদ শিবিরের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা ধর্মতলা চত্বর। গ্রেফতার করা হয় নওশাদ আরও ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থককে। হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলায় গত বুধবার ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নওশাদকে। এছাড়া কলকাতার পৃথক তিনটি থানাতে নওশাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। নিউমার্কেট থানার মামলায় নওশাদ সিদ্দিকীকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল পুলিশের তরফে। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। ফলে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে।
বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই নিম্ন আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন নওশাদ। ওই দিন কোনও বেআইনি জমায়েত হয়নি, মিটিংয়ের অনুমতি আগে থেকেই ছিল বলে দাবি করেন নওশাদের আইনজীবী। তারপরও সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
অন্যদিকে, বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে সম্প্রতি তলব করে লালবাজার। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীকে তলব করেছে লালবাজার (Lalbazar)। গত দু’দিন ধরে ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং অফিসে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও, ব্যবসায়ীর দাবি তিনি নওশাদের সঙ্গে কোনও কিছুতেই জড়িত নন। গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি।