‘বুকের মধ্যে আগলে রাখুন বামপন্থার মশাল’, বিমানের জন্মদিনে নজরকাড়া শুভেচ্ছাবার্তা নওশাদের
ISF MLA Naushad: ভাঙড়ের জোটের বিধায়ক আইএসএফ সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকির ভাই নওশাদ সিদ্দিকি সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র জয়ী প্রতিনিধি।
ভাঙড়ের জোটের বিধায়ক আইএসএফ সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকির ভাই নওশাদ সিদ্দিকি সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র জয়ী প্রতিনিধি। সূর্যকান্ত মিশ্র কিংবা আবদুল মান্নানদের বিধানসভায় কোনও বার্তা পৌঁছতে হলে একমাত্র ভরসা নওশাদই। তবুও বার বার আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বাম শিবিরের অন্দরে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে আইএসএফের সঙ্গে থাকা নিয়ে অধিকাংশ সদস্যই বিরুদ্ধ মত দিয়েছিলেন। বাম শরিকের একাংশের কাছে আবার এই আইএসএফ ‘ধর্মীয় দল’। কোথাও কোথাও সিপিএমের অন্দরে এমনও বলা হয়, পীরজাদাকে সামনে রেখে হয়তো কিছু ভোট পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু থাবা বসেছে বৃহত্তর সংখ্যালঘু ভোটে। আর কংগ্রেসের সঙ্গে ‘অম্ল মধুর’ সম্পর্কের নজির তো ভোটের আগে বামেদের ব্রিগেডের সভাতেই নজরে এসেছে।
যদিও সে সব বিতর্ককে দূরে ঠেলেই বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিমান বসুর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে নওশাদ লেখেন, ‘অবিচলিত স্তম্ভ হয়ে থাকুন, বনস্পতির ছায়া দিন, ভালোবাসার মায়া দিন, বুকের মধ্যে আগলে রাখুন বামপন্থার মশালকে। জন্মদিনের অনেক ভালবাসা ও শুভেচ্ছা।’ যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সম্প্রতি কৃষক আন্দোলনকে সামনে রেখে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রেফতার হন নওশাদ। সে সময় তাঁর পাশে কোনও সিপিএম নেতাকে দেখা যায়নি। যা নিয়ে জল্পনা বাড়ে, তবে কি এবার একলা চলোর নীতি নিল আইএসএফ। সেদিনই নওশাদ জানিয়েছিলেন, ‘জোট জোটের মত এগোবে। কেউ চাইলে একক ভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি করতেই পারে।’ কিন্তু এরপরই সিপিএম ও তাদের ছাত্র সংগঠনের পুরসভা-অভিযানে যখন বাম নেতাদের গ্রেফতার করা হল তখন কিন্তু ঠায় চার সাড়ে চার ঘণ্টা লালবাজারে বসেছিলেন নওশাদও। সিপিএমের নেতারা ছাড়া পাওয়ার পর ভাষণও দিয়েছিলেন যৌথ আন্দোলনের সমর্থনে। মুষ্ঠিবদ্ধ হাত ছুঁড়ে বলেছিল, “যে আন্দোলন চলছে, সেখানে আমাদের থাকতে হবে।” নওশাদের এই ব্যবহার বেশ প্রশংসা পেয়েছিল লাল শিবিরেও।
শোনা যায়, বিমান বসু নাকি ব্যক্তিগত ভাবে একাধিকবার নওশাদের প্রশংসা করেছেন ঘনিষ্ঠমহলে। মূলত সংযুক্ত মোর্চা তৈরির আগে দফায় দফায় যে বৈঠক হয় তাতে পৌরহিত্য করতেন বিমানবাবুই। সে সময় নাকি একাধিকবার ঘনিষ্ঠদের কাছে বিমান বসু নওশাদের রাজনৈতিক জ্ঞানের প্রশংসা করেছিলেন। মাথা ঠান্ডা রেখে মার্জিত স্বরে নওশাদের সবটুকু বুঝিয়ে বলার ক্ষমতা পছন্দ করেন বিমানবাবু। এমনকী এও শোনা যায়, ঘনিষ্ঠমহলে বিমান বসু বলেছিলেন, যে কোনও রাজনৈতিক দলেরই সম্পদ হতে পারেন নওশাদ। এরই মধ্যে নওশাদের এদিনের ফেসবুক পোস্টটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।