Isolation Period for Corona: নয়া আইসোলেশন বিধি! ৭ দিনের মাথা কাজে যোগদান…আমেরিকার পথে হাঁটবে ভারত?
Isolation Period for Corona: শহরে একাধিক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বহু চিকিৎসক। পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কলকাতা : শুধু ওমিক্রন? নাকি ডেল্টা আর ওমিক্রনের জোড়া ফলায় সংক্রমণ তরতর করে বাড়ছে, তা গবেষকরা খতিয়ে দেখছেন। তবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যে ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে। এভাবে আক্রান্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়তে থাকলে হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা দেওয়াই কঠিন হয়ে উঠবে। তাই আমেরিকার পথে হেঁটে আইসোলেশনের মেয়াদ ভারতেও কমানে হতে পারে।
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন, ভারতেও এবার প্রোটোকল বদল করার সময় এসেছে। বিশ্বের অনেক দেশই এখন ১৪ দিন বা ২১ দিনের আইসোলেশনের নিয়মে বদল এনেছে। সম্প্রতি আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আমেরিকাবাসীর জন্য আইসোলেশনের নতুন প্রোটোকল চালু করেছে। সেখানে বলা হয়েছে করোনা আক্রান্ত হলে পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। সাতদিন পর কাজে যোগ দেওয়া যাবে। সেই পথেই এবার ভারতও হাঁটবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আইসিএমআর।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনে নতুন গাইডলাইন কী?
যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হন সে ক্ষেত্রে ৫ দিন বাড়িতে থাকতে হবে। ৫ দিন পর যদি কোনও উপসর্গ না দেখা যায়, তাহলে বাড়ি থেকে বেরতে পারেন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় জ্বর না এলে ধরে নিতে হবে কোনও উপসর্গ নেই। তবে পরের পাঁচদিন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
যদি কেউ কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন, তাহলে বুস্টার ডোজ় নেওয়া থাকলে ১০ দিন মাস্ক পরতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে ও পাঁচদিন পর করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। আর যদি ভ্য়াকসিনের সাধারণ ডোজ় নেওয়া থাকে বা, ভ্য়াকসিন না নেওয়া থাকে, তাহলে পাঁচ দিন বাড়ি থেকে বেরনো যাবে না। পরের পাঁচ দিন বাড়ি থেকে বেরলেও মাস্ক পরে থাকতে হবে।
আইসিএমআর-এর গাইডলাইন কী?
আইসিএমআর-এর গাইডলাইন অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত হলে, উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর বা করোনা পরীক্ষার দিন থেকে অন্তত ১০ দিন নিজেকে আলাদা করে রাখতে হবে। ১০ দিন উপসর্গ না থাকলে আইসোলেশন শেষ হয়ে যাবে। শেষ তিন দিন যদি জ্বর না আসে সে ক্ষেত্রে আর আইসোলেশনের কোনও প্রয়োজন নেই।
মাত্রা ছাড়া সংক্রমণের মাঝে কেন বদলাতে পারে আইসোলেশনের মেয়াদ?
আমেরিকা বা ব্রিটেনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এত বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন যে হাসপাতাল সহ একাধিক ক্ষেত্রে কর্মী সংখ্যা কমে গিয়েছে। ফলে হাসপাতাল বা এয়ারপোর্টের মতো ক্ষেত্রে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখাই কার্যত দায় হয়ে উঠেছিল। তাই, কর্মী সংখ্যায় সামঞ্জস্য রাখতে আইসোলেশনের মেয়াদ বদল করা হয়। ভারতেও ক্রমশ একই ছবি সামনে আসছে। যে ভাবে চিকিৎসকেরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি, কলকাতাতেই আহমেদ ডেন্টাল কলেজ, চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদন ও রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজিতে বহু চিকিৎসককে আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : Corona in Kolkata: এবার ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজি! একসঙ্গে আক্রান্ত ১০ চিকিৎসক