JU: এবার পত্ররহস্য! ৯ তারিখ হস্টেল থেকে পড়ে যাওয়া ছাত্র ১০ তারিখ চিঠি লিখল কীভাবে?
JU: প্রশ্ন এখানেই। যে ছেলে ৯ অগস্ট রাত সাড়ে ১১টায় পড়ে গেল, ১০ অগস্ট সে কী করে ডায়েরির পাতায় চিঠি লিখল? যদিও 'পোস্ট ডেটেড লেটার' লেখার সম্ভাবনাও একেবারে অমূলক নয়।
কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্য়ুতে এবার নয়া মোড়। হস্টেল থেকে পাওয়া ডায়েরি ঘিরে দানা বাধছে রহস্য। ইতিমধ্যেই সেই ডায়েরির পাতায় লেখা একটি চিঠির ছবি ভাইরাল হয়েছে। ইংরাজিতে লেখা এক পাতার চিঠি। সেই চিঠির প্রেরক নিহত ওই ছাত্র। যদিও এই চিঠির লেখা তাঁর ছেলের নয় বলে দাবি করেছেন যাদবপুরের নিহত ছাত্রের বাবা। এখানেই প্রশ্ন, তাহলে সেই চিঠি কার লেখা? ১০ অগস্ট ডিন অব স্টুডেন্টসকে লেখা হয়েছে চিঠিটি। সেই চিঠিতে বাংলা বিভাগের এক সিনিয়র ছাত্রের নামেরও উল্লেখ রয়েছে। এমনও চিঠিতে লেখা, ওই সিনিয়র ছাত্র হস্টেল নিয়ে ভয় দেখাতেন।
বাস্তবিকই এই চিঠি ঘিরে নানা প্রশ্নের অবকাশ থাকছে। সবথেকে বড় প্রশ্ন, চিঠিটি ১০ অগস্টের লেখা। অথচ মৃত ছাত্রের বাবা কলকাতা পুলিশের কাছে নিজের হাতে লেখা যে অভিযোগপত্র জমা দেন, তাতে স্পষ্ট বাংলায় লেখা আছে ৯ অগস্ট সন্ধ্যায় তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা হয়। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কেউ একজন তাঁদের ফোন করে বাড়িতে জানান, ছেলে হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে গিয়েছে।
প্রশ্ন এখানেই। যে ছেলে ৯ অগস্ট রাত সাড়ে ১১টায় পড়ে গেল, ১০ অগস্ট সে কী করে ডায়েরির পাতায় চিঠি লিখল? যদিও ‘পোস্ট ডেটেড লেটার’ লেখার সম্ভাবনাও একেবারে অমূলক নয়। তবে এ ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেছে বলে মানতে নারাজ নিহতের পরিবার। মৃতের বাবার দাবি, ডায়েরির লেখা তাঁর ছেলের নয়। নিহত ছাত্রের বন্ধুদের একাংশের মত, তদন্তের অভিমুখ ঘোরাতে ঘটনার ৫ দিনের মাথায় সংবাদমাধ্যমের সামনে এ ধরনের চিঠি আনা হচ্ছে। এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ভিতর থেকেই হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অর্থাৎ যাদবপুরকাণ্ডে প্রথম থেকেই যে সংঘবদ্ধ অপরাধের অভিযোগ উঠছিল, ক্রমেই তা আরও বেশি করে প্রকট হচ্ছে বলে মত তাঁদের।