JU: ‘চ্যাপ্টার ক্লোজড, আমি রিলিফ চাই’, সরকারি নির্দেশ ফিরিয়ে নিজেই বললেন যাদবপুরের ফিনান্স অফিসার
JU: সম্প্রতি গৌরকিশোর পট্টনায়েক এই পদ থেকে অবসর নেন। এরপরই বিকাশ ভবন রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে জানায়, তাঁকে আবারও এই পদে বহাল করতে। আর এখানেই প্রশ্ন তোলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি জানান, একজন অবসর নিলে কেন তাঁকে আবারও সে পদে বসানো হবে?
কলকাতা: সরকারি নির্দেশ কার্যকর হল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিকাশ ভবনের নির্দেশ নিজেই ফেরালেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ফিনান্স অফিসার গৌরকিশোর পট্টনায়েক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিকাশ ভবনের সংঘাতের আবহে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত। গৌরকিশোর পট্টনায়েক বলেন, “চ্যাপ্টার ক্লোজড, আমি রিলিফ চাই।” পুনর্নিয়োগে চিঠি প্রত্যাহার করে নেন তিনি। রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে এ বিষয় জানান তিনি।
সম্প্রতি গৌরকিশোর পট্টনায়েক এই পদ থেকে অবসর নেন। এরপরই বিকাশ ভবন রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে জানায়, তাঁকে আবারও এই পদে বহাল করতে। আর এখানেই প্রশ্ন তোলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি জানান, একজন অবসর নিলে কেন তাঁকে আবারও সে পদে বসানো হবে?
উপাচার্যর বক্তব্য ছিল, এভাবে পুনর্বহাল বেআইনি। তিনি বলেছিলেন, “ক্ষমতা হাতে থাকলেই কারও মাথায় বারি মারা যায় না। আমরা যা করেছি আইন মেনে করেছি। এগুলো বরদাস্ত করা হবে না।” এমনকী সরকারি নির্দেশ থাকার পরও ফিনান্স অফিসার নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয় যাদবপুরে। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাধে। ক্রমেই জলঘোলা হতে থাকে। জুটার তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, কীভাবে একইসঙ্গে বিকাশ ভবনের কাছে ব্যাখ্যা তলব করে সেই সময়সীমার মধ্যেই আবার নতুন ফিনান্স অফিসার নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়। বিতর্ক যখন চড়ছে, তারইমধ্যে শুক্রবার প্রাক্তন ফিনান্স অফিসার গৌরকিশোর পট্টনায়েক জানিয়ে দেন তিনি অব্যাহতি চাইছেন।