Jago Bangla: ‘বই ব্যবসায় সিপিএমের কাটমানি’, মুখপত্রে বিস্ফোরক তৃণমূল
Jago Bangla: শিরোনাম, '৩৪ বছরে কত উপার্জন?' তৃণমূলের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, 'যারা কাটমানির কথা বলে বাজার গরম করছে, সেই সিপিএমের কাটমানির খবর কে রাখে?'
কলকাতা: সম্প্রতি ‘কবিতা বিতান’ কবিতাসমগ্রের জন্য বিশেষ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী শিবির, এমনকী সিপিএমও এই পুরস্কার ও বই নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে। বইয়ের দাম থেকে লেখনি, বিরোধীদের নিশানায় কবিতা বিতান। এসবের মধ্যেই এবার তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় উঠে এল চাঞ্চল্যকর এক প্রতিবেদন। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ‘ন্যাশনাল বুক এজেন্সিকে সামনে রেখে কাটমানি সিপিএমের।’ শিরোনাম, ‘৩৪ বছরে কত উপার্জন?’ তৃণমূলের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, ‘যারা কাটমানির কথা বলে বাজার গরম করছে, সেই সিপিএমের কাটমানির খবর কে রাখে?’ তাদের দাবি, ‘এক-আধ কোটি নয়, হিসেব করলে প্রায় হাজার কোটি টাকার ব্যবসা। তাও আবার যে সে ব্যবসা নয়, বইয়ের ব্যবসা। ব-কলমে সেখানেই ঘুরপথে জমা হত সরকারি অর্থ।’ এই প্রসঙ্গে ন্যাশনাল বুক এজেন্সির বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হবে না, প্রশ্ন তুলেছে জাগো বাংলা।
ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রকাশনী সংস্থা। জাগো বাংলায় বলা হয়েছে, ‘এক সময় কলেজ স্ট্রিটের এঁদো গলিতে খুপরি ঘর ছিল ন্যাশনাল বুক এজেন্সির। পরে বামপন্থীরা দখল নেয়। পরে সল্টলেকে বিশাল বাড়ি, অফিস, রেস্টরুম। কাদের বই ছাপত ন্যাশনাল বুক এজেন্সি? মুজফ্ফর আহমেদ, জ্যোতি বসু, প্রমোদ দাশগুপ্ত, সরোজ মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-সহ আরও অনেকের।’ বিস্ফোরক দাবি জাগো বাংলায়, ‘এই সব বই কেনাতে বাধ্য করা হত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে। যার অর্থ ক্লাস ফোরের পড়ুয়াদের জন্যও এই বই বরাদ্দ ছিল। সরকারি লাইব্রেরি থেকে পাড়ার লাইব্রেরিকে এই বই কিনতে বাধ্য করা হত। পুরো কাজটি করা হত ন্যাশনাল বুক এজেন্সির নামে।’
লেখা হয়েছে, ‘সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সরোজ মুখোপাধ্যায় চেয়েছিলেন গণশক্তি প্রকাশনা থেকে বই ছাপা হোক। কিন্তু বসু বুঝিয়েছিলেন তাহলে সরাসরি সরকারি অর্থ পার্টি ফান্ডে দেওয়ায় আইনি জটিলতা তৈরি হবে। এরপরই ঢেলে সাজানো হোক ন্যাশনাল বুক এজেন্সি। রমরমা ব্যবসা। ২৫-২৬ বছর ধরে টানা এই ব্যবসায় কোটি-কোটি টাকা ঘুরপথে আয় করেছে সিপিএম। এই কেনাবেচার কেলেঙ্কারি বাঁচাতে পাড়ায় পাড়ায় দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ন্যাশনাল বুক এজেন্সির স্টল দেওয়া শুরু হয়। যারা নাকি পুজো বিরোধী, তারাই কি না পুজো প্যাণ্ডেলের গায়ে জায়গা করে নেয়। উদ্দেশ্য কাটমানির আইনি বৈধতা।’
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কিসের জাগো বাংলা। তারা আবার ইস্যু বানাচ্ছে। তাতে আমি ইন্ধন জোগাতে যাব কেন?” তবে সিপিএম সমর্থকদের দাবি, বামপন্থীদের একটা আলাদা সাহিত্যধারা আছে। তার পাঠক সংখ্যা নেহাত কম নয়। বহুমুখী লেখা তুলে ধরেছে বাম সাহিত্যগুলিতে। আলাদা মেধা, মননের পরিচয় দেয় সেই লেখনি।