Jamtara Gang in Kolkata: বকেয়া CESC-র বিলের মেসেজ! বরাহনগরের ভাড়াবাড়িতে বসে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল জামতাড়া গ্যাং

Jamtara Gang in Kolkata: অভিযোগ, সফটওয়্যারের মাধ্যমে ১১ টাকা পাঠাতেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় প্রায় ২ লক্ষ টাকা।

Jamtara Gang in Kolkata: বকেয়া CESC-র বিলের মেসেজ! বরাহনগরের ভাড়াবাড়িতে বসে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল জামতাড়া গ্যাং
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2022 | 12:23 PM

কলকাতা: আপনার ইলেকট্রিসিটির বিল বাকি আছে… না দিলে রাতের মধ্যেই লাইন কেটে দেওয়া হবে। এমন মেসেজ অনেকেই পেয়ে থাকেন। মেসেজ পেয়ে বিচলিত হলেই বিপদ! আপনাকে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে বলা হবে, ক্লিক করে বিল মিটিয়ে দিতে। তারপর লিঙ্কে আঙুল ছোঁয়ালেই খোয়া যেতে পারে আপনার অ্যাকাউন্টের (Bank Account) সব টাকা। এমন অভিজ্ঞতা হয়ত অনেকেরই আছে। কলকাতার কাছে বসেই নাকি চালানো হচ্ছিল সেই প্রতারণা চক্র। সেই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ৪ জনকে বরানগর থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ইলেকট্রিসি বিলের নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগেই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা সবাই ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার (Jamtara) বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক মোবাইল ও ল্যাপটপ।

একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে বুধবার ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ৪ জন নিজেদের ছাত্র বলে পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন বরাহনগরে। তারপর একের পর এক ব্যাঙ্ক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

করেন, সিইএসসি-র বিল বাকি থাকার কথা জানিয়ে ফোন করে ‘ক্যুইক সাপোর্ট’ সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে বলা হয়েছিল। অভিযোগ, সফটওয়্যারের মাধ্যমে ১১ টাকা পাঠাতেই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় প্রায় ২ লক্ষ টাকা। এরপরই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

ধৃতদের নাম রবি কুমার মণ্ডল, অভিষেক সিং, রঞ্জিৎ শর্মা, চন্দন সিং। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে, ৪টি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, ৪টি সিম কার্ড। আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪ জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

উল্লেখ্য, এই ধরনের মেসেজ থেকে বারবার সাবধান করে থাকেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। অকারণে কোনও লিঙ্ক ক্লিক করতেও নিষেধ করা হয়। সিইএসসি-র বিলের কথা বলা হলেই অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আর তাতেই ঘটে যায় বিপদ। জামতাড়ায় বসে এমন প্রতারণার ফাঁদ পাতার ঘটনা আগে প্রকাশ্যে এসেছে। তবে কলকাতার কাছে বসে কেউ এমন কাজ করছে, এ কথা জেনে অবাক পুলিশকর্তারাও।