Calcutta High Court: ‘প্রত্যেককে কি বাড়তি নম্বর দেওয়া যায়?’ টেটে ভুল প্রশ্ন মামলায় প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
Justice Abhijit Ganguly: কয়েকদিন আগেই ভুল প্রশ্নের রেশ ধরে টেট বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে।
কলকাতা : ২০১৪-র টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। এই তথ্য সামনে এসেছ আগেই। সেই ভুল প্রশ্নের নম্বর পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে মামলাকও করেছেন প্রার্থীরা। এবার ২০২২-এর টেট যত এগিয়ে আসছে, ততই সেই প্রশ্ন আরও প্রকট হচ্ছে। ওই মামলার সমাধান সূত্র না বেরনো সত্ত্বেও কীভাবে নতুন করে টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রশ্ন রাখলেন, ভুল প্রশ্নের জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে নম্বর দিয়ে দেওয়া সম্ভব কি না।
অভিযোগ, ২০১৪-র প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় মোট ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এই নিয়ে একাধিকবার মামলা হয়েছে। যাঁরা ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে কি বাড়তি নম্বর দেওয়া যায়? সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় উল্লেখ করলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫ হাজার চাকরি প্রার্থীকে বাড়তি ৬ নম্বর করে দিয়েছে পর্ষদ। বাকিদের ক্ষেত্রে পর্ষদের অবস্থান কি? তা জানতে চায় আদালত। আগামী ৪ নভেম্বর দুপুর ১২ টার মধ্যে জানাতে হবে পর্ষদকে। ওই দিনই হবে পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, টেট পরীক্ষার আর খুব বেশি দেরি নেই। শেষবার টেট হয়েছিল ২০১৭-তে। পাঁচ বছর পর আবার টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু তাতে বিতর্ক কাটছে না। ২০১৪-র প্রার্থীরা আন্দোলন করছেন এই দাবিতে যে, তাঁদের অনেকেরই বয়স পেরিয়ে গিয়েছে, তাই আর পরীক্ষা না নিয়ে সরাসরি নিয়োগ করা হোক। অন্যদিকে, প্রশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও কেন অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ২০১৭-র প্রার্থীরা।
এরই মধ্যে ভুল প্রশ্নের নম্বর নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। প্রার্থীদের দাবি, ভুল প্রশ্নে যাঁরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককেই বাড়তি নম্বর দিয়ে দিতে হবে।