Justice Abhijit Ganguly: যে বাড়ির আনাচ কানাচ আমি চিনি, সেখানে সিআরপিএফ পাঠাতে হল, খারাপ লাগে: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

Calcutta High Court: পর্ষদের নতুন কমিটির প্রশাংসা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর আশা, আস্তে আস্তে সব পরিবর্তন হবে।

Justice Abhijit Ganguly: যে বাড়ির আনাচ কানাচ আমি চিনি, সেখানে সিআরপিএফ পাঠাতে হল, খারাপ লাগে: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2022 | 5:19 PM

কলকাতা: প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় সেই কমিটির প্রশংসা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। এ দিন তেমনই একটা মামলা চলাকালীন কমিটির প্রশংসা করেন তিনি। পাশাপাশি, নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তাঁর পুরনো কর্মক্ষেত্রে যে ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে হয়েছে, তার জন্য আক্ষেপও করেন বিচারপতি। তিনি দাবি করেন, আগে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ছিল, দুর্নীতি ছিল না।

এ দিন একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি পর্ষদের নতুন কমিটির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি, অভীক মজুমদারের মতো ব্যক্তিরা আছেন, বর্তমান চেয়ারম্যানও ভালো। কোনও পুরসভার চেয়ারম্যানের মত নয়।’ আস্তে আস্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১১ সদস্যের অ্যাড হক কমিটিতে রয়েছেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, স্বাতী গুহ, সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার, উচ্চ শিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিকি দাশগুপ্ত প্রমুখ।

এ দিন তিনি আরও বলেন, আমিও পর্ষদের হয়ে কাজ করেছি। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়েছি। তারপর কি যে হল! আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘যে বাড়ির আনাচ কানাচ আমি চিনি, কে কোথায় বসেন আমি জানি, সেখানে আমাকে সিআরপিএফ পাঠাতে হল, খারাপ লাগে।’ আগে স্বচ্ছতা ছিল, দুর্নীতি ছিল না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রথম জীবনে রাজ্য সরকারি অফিসার ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের ল অফিসার ছিলেন বলে জানা যায়। স্বাভাবিকভাবেই সে সময় অনেক মামলা লড়েছেন তিনি। সেই কারণেই সম্ভবত এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তদন্তের স্বার্থে পর্ষদের সার্ভার রুমে যেতে হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাকে। সঙ্গে নিয়ে যেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এ দিন বিচারপতি আরও দাবি করেন, সম্মিলিত মেধা তালিকা প্রকাশ করাটাই পর্ষদের মাস্টারস্ট্রোক।