Justice Abhijit Gangopadhyay: দুর্গা বানান জিজ্ঞেস বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, না পারায় বললেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষক হবেন না’
Justice Abhijit Gangopadhyay: প্রসঙ্গত, আগেই চাকরিপ্রার্থীর অ্যাপ্টিটিউট টেস্টের পাশাপাশি ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিও দেখতে চেয়েছিল আদালত। ভিডিও ফুটেজ আদালতে হাজির করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগের দিন ভিডিও দেখে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি গাঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা: ২০১৪-র টেট পরীক্ষায় (TET Exam) বসেছিলেন তিনি। কিন্তু, পর্ষদের ফলে পাশ করতে পারেননি তিনি। এদিকে পরবর্তিতে জানতে পারেন ওই বছরের টেট-এর প্রশ্নে ৬টি ভুল প্রশ্ন ছিল। আদালতের দ্বারস্থ হতেই তাঁর মার্কশিটে যোগ হয় ৬ নম্বর। প্রাপ্ত নম্বর দাঁড়িয়েছিল ৮২। পাশ মার্কশ উঠলেও কেন চাকরি পাননি সেই প্রশ্ন তুলে ফের দ্বারস্থ হন আদালতে। এরপরই চলতি বছরের ১৭ জুলাই চারপতি বোর্ড প্রেসিডেন্টকে আমনা পারভিনের ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট নেওয়ার নির্দেশ দেন। যা ভিডিয়োগ্রাফি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও তারপর এই মামলার শুনানিতেই বোর্ডের আইনজীবী আদালতে সাফ জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা নেওয়ার পর দেখা গিয়েছে আমনার চাকরি পাওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই। এবার বোর্ডের চোখে ফেল করা সেই আমনা পারভিনকে আদালতে বানান জিজ্ঞেস করে পরীক্ষা নিলেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, আগেই চাকরিপ্রার্থীর অ্যাপ্টিটিউট টেস্টের পাশাপাশি ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিও দেখতে চেয়েছিল আদালত। ভিডিও ফুটেজ আদালতে হাজির করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগের দিন ভিডিও দেখে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি গাঙ্গোপাধ্যায়। এদিন শুনানির সময় আদালতে ছিলেন আমনা। ফের তাঁর পরীক্ষার ভিডিও চালানো হয়। দেখা যায় তিনি পরীক্ষায় চাষ করি আনন্দে এখানে ‘করি’ বানানটি তিনি ভুল করেন। করী লেখেন। এরপর বিচারপতি মন্তব্য করেন করি বানান আপনি কীভাবে ভুল করেন। এভাবে প্রাথমিক শিক্ষক হওয়া যায় না। তিনি নিজে থেকেই আদালতে দুর্গা বানানটি জিজ্ঞেস করেন আমনাকে। সেটিও ভুল বলেন আমনা। এরপরই বেশ খানিকটা রেগে যান বিচারপতি।
সাফ বলেন, “আমার পরামর্শ, যাবেন না ছোটদের পড়াতে। হতে পারে আপনার চাইতেও অনেকে খারাপ আছেন। আবার অনেকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাও বলব প্রাথমিক শিক্ষক হবেন না”। শেষে মামলাটি তিনি খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বোর্ডের সিদ্ধান্তেই সম্মতি রয়েছে তাঁরও।