Kakoli Ghosh Dastidar: ‘অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইলে প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করতে বাধ্য’, চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশি অভিযান প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ
Kakoli Ghosh Dastidar: টেনে হিঁচড়ে অনশনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। হকের চাকরির দাবিতে যাঁরা আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের ওপর এই আচরণে এবার সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিরোধী, বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।
কলকাতা: আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে গোটা রাজ্য সরব। সরব বিরোধী, বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ। কিন্তু অনড় পর্ষদ, প্রশাসনও। তাঁদেরও বক্তব্য, আন্দোলনকারীদের দাবি ন্যায্য নয়। এই পক্ষেই সওয়াল করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, “যতদূর আমি জানি বারে বারে সরকার- প্রশাসনের থেকে মানবিকতার সঙ্গে ডাকা হয়েছিল। যারা পাশ করেছেন তারা আসুন, ফর্ম ফিলাপ করুন এটা পর্ষদ। সভাপতি নিজে বারে বারে বলেছেন। তারা যদি অশান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাহলে প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করতে বাধ্য হবে।”
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা গত সোমবার থেকে যখন এপিসি ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তারপর কার্যত চাপের মুখে পড়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। আন্দোলনকারীদের চার প্রতিনিধি যান তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে। পর্ষদ সভাপতি, তাঁদের প্রত্যেককে আবারও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু পর্ষদের দাবি মানেন নি আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ছিল, তাঁদের অনেকেই দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কোনও মেরিট লিস্ট দেওয়া হয়। ৮ বছরের এই ব্যবধানে অনেকেরই বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁদের আর ইন্টারভিউ দেওয়ার বয়স নেই। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে দাবি তোলেন তাঁরা। ২০১৪ ও ২০১৭ সালের চাকরিপ্রার্থীদের পৃথক ভাবে নিয়োগের দাবি তোলেন তাঁরা। কিন্তু সেই দাবিও মানতে নারাজ পর্ষদ। তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। পর্ষদ নালিশ ঠোকে আদালতে। পাল্টা আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরাও। শুক্রবার মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু তার আগেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অতর্কিতে পুলিশি অভিযানে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের। টেনে হিঁচড়ে অনশনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। হকের চাকরির দাবিতে যাঁরা আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের ওপর এই আচরণে এবার সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিরোধী, বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।