টাকি হাউজ়ের ছাত্র দেবাঞ্জন কীভাবে জড়িয়ে পড়লেন জালিয়াতির ব্যবসায়?
অফিস থেকে মেলা স্যানিটাইজারের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাতে ইথাইল অ্যালকোহল নেই। রয়েছে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। যা ঘরবাড়ির জীবানুমুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়।
কলকাতা: শিয়ালদা টাকি হাউজ়ের ছাত্র ছিলেন দেবাঞ্জন (Debanjan Deb)। চারুচন্দ্র কলেজ থেকে জুওলজিতে স্নাতক হন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনেটিক্সের একটি কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি। এরপর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসট্যান্স এডুকেশন প্রোগামের একটি কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সেটিও শেষ করেননি। কসবা জালিয়াতি চক্রে (Kasba False Vaccination Camp) রাতভর পুলিশি জেরায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানালেন দেবাঞ্জন দেব।
দেবাঞ্জন দাবি করেন, পড়াশোনার পর তিনি গান ও তথ্য চিত্রের কাজ শুরু করেন। গত বছর করোনা কালেই তাঁর জীবনের মোড় ঘোরে। তিনি স্যানিটাউজারের ব্যবসা শুরু করেন। সে সময় তিনি বাগড়ি মার্কেট থেকে মাস্ক, স্যানিটাউজার, পিপিই কিট কিনে এনে বিক্রি করতে শুরু করেন।
জেরায় দেবাঞ্জন দাবি করেছেন, এরপরই সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। বিভিন্ন জায়গাতে মাস্ক, স্যানিটাইজার বিলি করা শুরু করেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, সেই স্যানিটাইজারও নকল। তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে। তাঁর অফিস থেকে মেলা স্যানিটাইজারের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাতে ইথাইল অ্যালকোহল নেই। রয়েছে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড। যা ঘরবাড়ির জীবানুমুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: দেবাঞ্জনের মুখে ফিরহাদ-সহ একাধিক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নাম! সত্যতা নিয়ে সন্ধিহান তদন্তকারীরা
দেবাঞ্জনের অফিসের কম্পিউটারে মিলেছে নকল কোভিশিল্ড-এর লেবেল তৈরির গ্রাফিক্স। অর্থাৎ তার কম্পিউটারেই লেবেল ছাপানোর গ্রাফিক্স তৈরি করা হয়েছিল। তারপর তা বাইরে থেকে ছাপিয়ে এনে প্রত্যেকটি ইনজেকশনের শিশিরের ওপর সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেবাঞ্জনের অফিসের কম্পিউটার হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।