Arjun Chaurasia death: সেই রাতে কার সঙ্গে কথা? কে প্রথম দেখেছিল অর্জুনকে?
Arjun Chaurasia death: পরিবারের সদস্যরা বারবার বলছেন, পুলিশ ঠিক নয়। পুলিশ ঠিক থাকলে হয়ত অর্জুনকে এ ভাবে হারাতে হত না।
কলকাতা : শুক্রবার সাত সকালে রেলের পরিত্যক্ত আবাসনের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় বিজেপির যুবনেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত দেহ। আর সেই মৃত্যু ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। পরের দিন সকালে যাঁর বিজেপির ব়্যালিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, তিনি কেন আচমকা আত্মহত্যা করলেন? আত্মহত্যা হলে সুইসাইড নোট কোথায়? ঝুলন্ত দেহের পা মাটিতে ঠেকে ছিল কেন? এই সব প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। আপাতত তাই সত্যিটা জানার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা পরিবার। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে অর্জুনের ফোনের কল লিস্ট চেক করছে। জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টা কাটলেও তরতাজা যুবকের এই আকস্মিক মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবার। শোকবিহ্বল পরিবারের শুধুই কান্নার রোল। তবে পুলিশের ওপর যে কোনও ভরসা নেই, সে কথা সাফ জানিয়েছেন মৃতের আত্মীয়রা।
শনিবার সকালে অর্জুনের দেহের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কমান্ড হাসপাতালেই চলছে ময়নাতদন্ত। অন্যদিকে, পুলিশ তদন্তের কাজ চালাচ্ছে কাশীপুরে। এ দিন সকাল থেকেও ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি, এ দিন বিকাশ যাদব নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে এ দিন প্রত্যক্ষদর্শী বিকাশ যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। কোয়ার্টারের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে অর্জুন চৌরাসিয়ার পরিবারকে খবর দিয়েছিলেন এই বিকাশ। অত সকলে ওই জায়গায় কেন গিয়েছিলেন বিকাশ? ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখেছিলেন? কী ভাবে জানতে পারলেন? এই সব বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। পাশাপাশি কোয়ার্টারের পাঁচিলের বাইরে থেকে ভিতর পর্যন্ত কী পরিস্থিতি ছিল, তার বর্ণনা তদন্তকারীদের সামনে তুলে ধরেন বিকাশ।
এ ছাড়া অর্জুনের ফোন নিয়ে কল লিস্ট চেক করে দেখছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে অর্জুন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ওই রাতে কোথায় গিয়েছিলেন তিনি? কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন? কী কথোপকথন হয়েছিল? এ সব জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
তবে পরিবার এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। শুক্রবার অর্জুনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। আর অর্জুনের পরিবারও একই দাবি জানাচ্ছে। তাঁর বোন এ দিন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘পুলিশ যা করেছে তাতে পুলিশের ওপর কোনও ভরসা নেই। পুলিশ ঠিক থাকলে ভাই আজ আমাদের মধ্যে থাকত।’
এ দিকে আদালতের নির্দেশে এদিন নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে অর্জুনে বাড়ির চারপাশ। ঘটনাস্থল অর্থাৎ ওই পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের পাশাপাশি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে মৃত বিজেপি নেতার বাড়ির চারপাশেও। কারা ওই এলাকা দিয়ে চলাফেরা করছে, তাদের গতিবিধিতে নজর রাখছে পুলিশ।