Partha Chatterjee: আচ্ছা, অর্পিতার বাড়ি থেকে পাওয়া ২১ কোটি টাকার কী হবে? কে পাবে? কোথায় যাবে?

Partha Chatterjee: নিশ্চয় আপনার মনেও এটাই প্রশ্ন! জেনে নিন অর্পিতার বাড়ি থেকে পাওয়া ২১ কোটি টাকার ভবিষ্যৎ কী।

Partha Chatterjee: আচ্ছা, অর্পিতার বাড়ি থেকে পাওয়া ২১ কোটি টাকার কী হবে? কে পাবে? কোথায় যাবে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2022 | 7:22 PM

কলকাতা: হাজার বা লক্ষ নয়, একেবারে কোটি কোটি টাকার ডেরার খোঁজ খাস কলকাতায়। মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি টাকার বেশি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনাও। এদিকে অর্পিতা আবার রাজ্য়ের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছে ইডি। দুজনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু কোথায় যাবে এই কোটি কোটি টাকা? কেই বা পাবেন? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে গোটা রাজ্যের নাগরিক মহলে।

 ৪০টি ট্রাঙ্কে তোলা হয় টাকা

শুক্রবার রাতেই কোটি কোটি টাকার খোঁজ মেলার অর্পিতার বাড়িতে আসেন ব্য়াঙ্কের কর্মীরা। আসে টাকা গোনার মেশিন। শুরুতে শোনা যায় মোট টাকার পরিমাণ প্রায় ২০ কোটির বেশি। শেষ পর্যন্ত সমস্ত গণনাপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দেখা যায় মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।  শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে অর্পিতা যে আবাসনে থাকেন সেখানে পাঠানো হয় একটি বিশাল ট্রাক। সেই ট্রাকেই তোলা হয় ৪০টি ট্রাঙ্ক। যাতে রয়েছে অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সেই কোটি কোটি টাকা। 

কোথায় থাকবে এই টাকা?

আপাতত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লকারেই রাখা থাকবে এই টাকা। বাজেয়াপ্ত করা প্রতিটা নোটের নম্বর মিলিয়ে তা রাখা থাকবে হিসাবের খাতায়। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে কোনও ব্যাঙ্কেই নিজের তত্ত্বাবধানে রাখতে পারে। বর্তমানে এই বিশাল অঙ্কের টাকা রাখা রয়েছে এসবিআইয়ের স্ট্রান্ড রোড লকারে। 

কে পাবেন এই বিশাল অঙ্কের টাকা? 

প্রসঙ্গত, কোনও চুরি বা ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ বাজেয়াপ্ত করা অর্থরাশি পুলিশ তাঁদের মালখানায় রাখে। মামলা চলাকালীন সময় ওই টাকার কোনও দাবিদার সামনে এলে তা যথাযথ প্রমাণ সহ তা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যথায় তা সরাসরি চলে যায় সরকারি কোষাগারে। তবে এ ক্ষেত্রে যেহেতু টাকার অঙ্ক একেবারের কয়েক কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে তাই সরাসরি মাঠে নেমেছে রিজার্ভ ব্যঙ্ক। যতদিন এই অর্পিতার বিরুদ্ধে মামলা চলবে ততদিন তাঁর নামেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই টাকা তাদের হেফাজতে রাখবে। যদি মামলা চলাকালীন সময় যথাযথ প্রমাণ সহ টাকার দাবি করতে পারেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় তবে তা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে, অন্যথায় তা চলে যাবে কেন্দ্রীয় কোষাগারে। 

ফিজিক্যালি স্টোর করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা

এদিকে সাধারণ মানুষ যখন ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন তখন তা ব্যাঙ্ক নিজের প্রয়োজনে সেই টাকা ব্যবহার করে। নির্দিষ্ট ব্যক্তির নামে গচ্ছিত থাকলেও যে চাকা জমা দেওয়া হয়েছিল তা ব্যাঙ্কের নিয়মেই হাতবদল হয়, খাটে শেয়ার মার্কেটে। অর্থাৎ, যে নোট আপনি ব্যাঙ্কে জমা রেখেছিলেন, তোলার সময় তা সেই নোট আর আপনার হাতে আসে না। কিন্তু, সুদে-আসলে যে অর্থরাশি আপনি পান। শুধু বদলে যায় টাকার নম্বর। কিন্তু, এ ধরনের বড় বাজেয়াপ্তর ঘটনায় তা হয় না। সহজ কথায় যে নোটগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তা নম্বর মিলিয়ে ফিজিক্যালি স্টোর করে রাখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।