Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের মধ্যেই ‘শ্লীলতাহানি’র শিকার আইনজীবী! ‘অভিযোগ নিল না পুলিশও’
Calcutta High Court: নিগৃহীতা আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টেই প্র্যাকটিস করেন। অথচ তাঁরই শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর নেয়নি। এই অভিযোগ আরও বড়।
কলকাতা: সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন তিনি। পিছন থেকে আচমকাই এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন অভিযুক্ত। হকচকিয়ে যান মহিলা আইনজীবী। বাকিরা তখন সেই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত। আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে উঠে চিত্কার করতেই অভিযুক্ত পালিয়ে যান। যেখানে গোটা ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি আবার ওই মহিলার কর্মস্থল এবং খোদ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court), বিচারবিভাগীয় কাঠামোর স্তম্ভ। আদালতের মধ্যেই কার্যত শ্লীলতাহানির (Molestation Case) শিকার হলেন এক মহিলা আইনজীবী, এমনটাই অভিযোগ। নিগৃহীতা আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টেই প্র্যাকটিস করেন। অথচ তাঁরই শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর নেয়নি। এই অভিযোগ আরও বড়। তাই শেষমেশ আদালতের দারস্থ হতে হল ওই মহিলা আইনজীবীকে। অবশেষে গৃহীত হল তাঁর জবানবন্দি।
ঘটনার কথা বলতে গেলে বেশ কয়েক মাস পিছোতে হবে। কলকাতার বাসিন্দা ওই আইনজীবীর কাছে একটি মামলা নিয়ে আসেন এলাকারই এক বাসিন্দা। পেশায় প্রোমোটার ওই ব্যক্তি আইনজীবীকে তারপর থেকেই নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন বলে অভিযোগ।
রাস্তাঘাটে ওই আইনজীবীকে বিরক্ত করতে থাকেন ওই প্রোমোটার। একাধিকবার তাঁকে বুঝিয়ে বলেন আইনজীবী। কিন্তু কাজ হয় না কিছুই। দিনের পর দিন পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। এরপর ওই প্রোমোটার রীতিমতো ‘ফলো’ করা শুরু করেন আইনজীবীকে। বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন নিগৃহীতাও।
কিন্তু এরই মধ্যে বিষয়টি সীমা ছাড়ায়। চলতি মাসেই এক দিন নিজের কর্মস্থলে ছিলেন ওই আইনজীবী। ওই ব্যক্তি তাঁকে অনুসরণ করে কখন সেখানে পৌঁছন, তিনি জানতে পারেননি। কাজ সেরে হাইকোর্টের সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন মহিলা আইনজীবী। অভিযোগ, তখনই অভিযুক্ত সিঁড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নেমে তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন।
মহিলা আইনজীবীর চিত্কারে উপস্থিত অনান্য লোকজন ঘটনাস্থলে চলে আসেন। আর তখনই পালিয়ে যান অভিযুক্ত। এরপর হাইকোর্ট থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন মহিলা আইনজীবী। অভিযোগ না নেওয়ায় আইনজীবী তাঁর বাড়ি এলাকার থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু কলকাতার সেই থানাতেও এফআইআর নেওয়া হয় নি।
শেষ পর্যন্ত তিনি আলিপুর আদালতে মামলা করেন। সোমবারই তাঁর জবানবন্দি নিয়েছে আদালত। অভিযোগকারীর বক্তব্য,. এক জন মহিলা আইনজীবী হিসেবে তিনি যদি হাইকোর্টে নিরাপদ না হন, তাহলে যাঁরা বিচারপ্রার্থী তাঁদের কী অবস্থা হবে! যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।