Kolkata Airport: কলকাতা বিমানবন্দরে ভোট, তৃণমূলের সমর্থনপুষ্টদেরই জয়জয়কার
Airport: অন্যান্য নির্বাচনের মতোই পাঁচ বছর অন্তর বিমানবন্দরের ইউনিয়ন নির্বাচন হয়। এই ভোট ঘিরে সমস্ত পক্ষের মধ্যেই উন্মাদনা তুঙ্গে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৬ই জুলাই মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হয়।
কলকাতা: দেশের ১১৯টি বিমানবন্দরের ইউনিয়নের নির্বাচন। সেই ভোট ঘিরে কলকাতাতে রীতিমতো হইহই। একদিকে রাজ্যের শাসকদলের সমর্থনে থাকা এয়ারপোর্টস অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (AAEU)। অন্যদিকে বিজেপি সমর্থিত কামগর ইউনিয়ন। সোমবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এরপর ফলপ্রকাশ হয় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। যদিও এখনও পোস্টাল ব্যালটের গণনা হয়নি। তবে যে সংখ্যক পোস্টাল ব্যালট ছিল, তার থেকে অনেক বেশি ভোটেই এগিয়ে এয়ারপোর্টস অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (বাংলায় তৃণমূল পরিচালিত। সুতরাং তারা যে জয়ী তা বলাই বাহুল্য।
অন্যান্য নির্বাচনের মতোই পাঁচ বছর অন্তর বিমানবন্দরের ইউনিয়ন নির্বাচন হয়। এই ভোট ঘিরে সমস্ত পক্ষের মধ্যেই উন্মাদনা তুঙ্গে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৬ই জুলাই মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হয়। ৭ তারিখ চলে স্ক্রুটিনি। ২৬ অগস্ট অবধি চলে ভোট প্রচার। ২৮ অগস্ট ভোটগ্রহণ হয়। বর্তমানে এয়ারপোর্টস অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের দখলে কলকাতা বিমানবন্দর।
২০১৮ সালে কলকাতায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১৯৫। ২০২৩ সালে ভোটার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৪২-এ। নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভোটার সংখ্যা ৫৫৭ এবং রিজিওনাল হেডকোয়ার্টারে ১৮৫। তবে ভোটার সংখ্যা কমলেও, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র কিন্তু গতবারের তুলনায় বেড়ে ২ হয়েছে।
এয়ারপোর্টস অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন নিজেদের অরাজনৈতিক বলে দাবি করলেও বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলির প্রতি তাদের সমর্থন লক্ষ্য করা যায়। এ রাজ্যেও তৃণমূলের প্রতি এয়ারপোর্টস অথরিটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সমর্থন রয়েছে। ইউনিয়নের রিজিওনাল সেক্রেটারি প্রদীপ সিকদার বলেন, “এখানে তিনটে ইউনিয়নের মধ্যে ভোট হচ্ছে। সারা দেশে ১১৯টা বিমানবন্দরে ভোট হচ্ছে। সবমিলিয়ে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে, তারাই ক্ষমতায় থাকবে। এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় থাকার ক্ষমতা থাকবে।”