Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হাতিয়ার ভারতীয় কর্পোরেট কর্মীরা! মালদায় ধৃত চিনা নাগরিকের সূত্রে চিনের বড়সড় ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস

ভারত জুড়ে নয়া ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে চিন। মালদার (Maldah) সুলতানপুর থেকে গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত চিনা নাগরিককে (Chinese Sitizen) জেরা করে মিলল ভারতে বিস্তৃত চিনের (China) বিরাট জালিয়াতি চক্রের বিস্ফোরক তথ্য।

হাতিয়ার ভারতীয় কর্পোরেট কর্মীরা! মালদায় ধৃত চিনা নাগরিকের সূত্রে চিনের বড়সড় ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস
Follow Us:
| Updated on: Jun 11, 2021 | 2:02 PM

কলকাতা: ভারত জুড়ে নয়া ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে চিন। মালদার (Maldah) সুলতানপুর থেকে গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত চিনা নাগরিককে (Chinese Sitizen) জেরা করে মিলল ভারতে বিস্তৃত চিনের (China) বিরাট জালিয়াতি চক্রের বিস্ফোরক তথ্য।

ভারতে কীভাবে জাল বুনেছিল চিন?

♦ চরদের হাত দিয়ে ভারতে প্রতারণার জাল ছড়াচ্ছে চিন। ♦ চরদের মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যেত চিনে। ♦ সেই টাকাই ব্যবহৃত হত ভারত বিরোধী কর্মকাণ্ডে। ♦ চিনা অ্যাপের মাধ্যমে দেশের বড় শহরে প্রতারিত প্রায় ৫ লক্ষ। ♦ ৩৫০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে ইতিমধ্যেই। ♦ চিনা চর জাল বুনেছে দিল্লি-মুম্বই-বেঙ্গালুরুতে।

চিনা নাগরিক হান জুনেই মাধ্যমে একটা বড় পর্দা ফাঁস হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রথম সূত্র হাতে পায় লখনউ এটিএস। গত জানুয়ারি মাসে লখনউ এটিএস জুলাই ও এলিস নামে দুই চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকেই হদিশ মেলে সাং জিয়ান নামে চিনের আরও এক নাগরিকের। তাকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীরা দেখতে পান, ধৃত তিন জনই ভারতীয় নামে প্রচুর ভারতীয় সিম কার্ড তুলছিল। সেই সিম কার্ড তারা চিনে পাঠাচ্ছিল।

সেই সিম কার্ডকেই ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছিল বেনামি বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্ট মারফত সেই সময়েই অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেই পাঁচ কোটি টাকার লেনদেনের হিসাব পান তদন্তকারীরা। সেই সূত্রে নাম উঠে আসে মালদা থেকে ধৃত চিনা নাগরিকেরও।

উদ্ধার প্রচুর মোবাইল সিম কার্ড

হানকে জেরা করে বড়ষড় ষড়যন্ত্রের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গোটা ভারত জুড়ে চিন একটা প্রতারণার জাল বুনেছে। ‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং’ এর নাম করে তারা জাল বুনেছিল। পাওয়ার ব্যাঙ্ক ও ইভেন্ট প্ল্যান্ট বলে দুটি অ্যাপকে ডেভলপ করেছিল তারা। সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তারা ভারতে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লগ্নি করাচ্ছিল। সেই টাকা দ্বিগুণ করিয়ে দেওয়ার নাম করে।

এদিকে, এই ঘটনাতেই গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সত্যেন্দর সিং নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি নয়ডার একটি টেলিকম সংস্থার মালিক। তিনি তাঁর সংস্থার কর্মচারীদের নামে সিম কার্ড ইস্যু করিয়েছিলেন। এইভাবে ২৭০০ সিম কার্ড ইস্যু করিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রত্যেকটি সিম চিনে পাঠানো হয়েছিল। তার বদলে তিনি ১৮ লক্ষ টাকা চিনা নাগরিকদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন।

সাইবার সেলের তদন্তকারীরা জানতে পারেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে চিনের দুই অ্যাপ ভারতে অত্যন্ত বেশি কার্যকরী। সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরেই তদন্তে নামেন সাইবার সেলের কর্তারা। এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলা থেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে রবিন নামে এক ব্যক্তিকে। দেখা গিয়েছে, চিনা ওই দুটি অ্যাপ ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ মানুষ ডাউনলোড করেছেন। তার মধ্যে প্রতারিত হয়েছেন ৫ লক্ষ। গ্যাংয়ের মাথা চিনে বসে।

আরও পড়ুন: গুরুগ্রামে রয়েছে হোটেল, কিন্তু তার আড়ালেই চলত ‘তথ্য পাচারের’ কাজ! আজ NIA-এর মুখোমুখি চিনা নাগরিক

অ্যাপ ডাউনলোডের মাধ্যমে টাকা লাভের প্রলোভন দেখানো হত প্রথমে। ডাউনলোডের পর টাকা দ্বিগুণের প্রলোভন, এরপর সেই অ্যাপ গ্রাহকদের মাধ্যমে আরও অন্যত্র ছড়িয়ে দিতে পারলে আরও বেশি টাকা লাভের প্রলোভন দেওয়া হত। সেই টাকা চলে যেত চিনে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুই চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তাঁদেরকে জেরা চলছে। জানা গিয়েছে, ভারতে এই চক্রের অন্যতম চাঁই চান জুনওয়ে।