Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দুপুরে যাবেন কালীঘাটে! আজই ঘাসফুলে ফুটবে মুকুল?

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তিনি। বিধায়কও বটে। তাই তাঁর দলবদলের সম্ভাবনা ঘিরে সরগরম রাজনীতি।

দুপুরে যাবেন কালীঘাটে! আজই ঘাসফুলে ফুটবে মুকুল?
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 11, 2021 | 12:57 PM

কলকাতা: মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা চলছিল গত কয়েক দিন ধরেই। মুকুল ও শুভ্রাংশুর সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের দূরত্ব যে ক্রমশ কমছিল, সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সূত্রের খবর, মুকুলের প্রত্যাবর্তনে আর বেশি দেরি নেই। আজ, শুক্রবারই সম্ভবত তৃণমূলে ফিরছেন তিনি। সব ঠিক থাকলে, এ দিন দুপুর ২ টো নাগাদ কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যেতে পারেন তিনি। বিকেলেই সম্ভবত তৃণমূল ভবনে যাবেন তিনি। আর সেই খবর ঘিরেই তাঁর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা স্পষ্ট হচ্ছে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিনই তৃণমূল ভবনে যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কোনও এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। সেই সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। কী নিয়ে এই বৈঠক, তা এখনও জানা যায়নি। সেই বৈঠকের সঙ্গে মুকুলের দলে ফেরার কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। তবে মুকুল এলেও সম্ভবত তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু এখনই ফিরবেন না তৃণমূলে।

মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিষেক। তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছিলেন মুকুলের স্ত্রী তাঁর ‘মাতৃসম।’ জল্পনা তৈরি হয় তার পর থেকেই সদ্য বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হওয়া মুকুল আবারও মমতার হাত ধরত পারেন, এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তারপরের ঘটনাক্রমে জল্পনা আরও বাড়ে। এক দিকে ‘রায়’ ও ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ পরিবারের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরই দলের সাংসদ অর্জুন সিং। অন্য দিকে আবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের গলায় মুকুলকে নিয়ে নরম সুর শোনা যায়।

শুধু তাই নয়, বিধানসভা ভোটের আ্গে প্রচারে গিয়ে মুকুলের প্রতি ‘মমতাময়’ সুর ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায়। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের জেলা থেকে বের করে কৃষ্ণনগরে পাঠিয়ে দিল মুকুলকে! আমি তো বলব শুভেন্দুর থেকে মুকুল ভাল।’ সৌগতর যুক্তিও অনেকটা একই। তিনিও সম্প্রতি তুলনা টেনে বলেন, শুভেন্দু দল ছেড়ে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন মমতাকে, মুকুল কিন্তু তেমনটা করেননি।

আরও পড়ুন: ভোটে হারা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিজেপির সব্যসাচী, শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগ জমা পড়ল দলের অন্দরে

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিজেপিতে যোগ্য সম্মান পাচ্ছিলেন না তিনি। যদি তিনি তৃণমূলে ফেরেন, তাহলে আইনের প্যাঁচে বিধায়ক পদও চলে যেতে পারে তাঁর। দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠতে পারে মুকুলের বিরুদ্ধে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাঁকে বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য বলা হয় তাই দীর্ঘ দিন সংগঠন চালানো মুকুল রায় মোটেই না ভেবেচিন্তে কোনও পা ফেলেন না। তাঁর কাছে বিধায়ক পদের থেকে রাজনৈতিক কেরিয়ার ও আত্মসম্মান বড় হয়ে উঠছে বলেই মনে করা হচ্ছে।