‘চিকিৎসক হলেও নিজের চিকিৎসা নিজে করবেন না’
এবার চিকিত্সকদের মনোবল বাড়াতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ ওয়েবিনার। যার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল কোভিডে (COVID19) চিকিত্সকদের মৃত্যু।
কলকাতা: রাজ্যে করোনার বলি এ পর্যন্ত ৭৮ জন। উদ্বিগ্ন চিকিত্সক মহল থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এবার চিকিত্সকদের মনোবল বাড়াতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ ওয়েবিনার। যার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল কোভিডে (COVID19) চিকিত্সকদের মৃত্যু। সেই মঞ্চেই রাজ্যের করোনা যোদ্ধাদের জন্য ‘প্রেসক্রিপশন’ লিখলেন মহারাষ্ট্রের টাস্ক ফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক যোশী।
এ যেন ‘মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘা’! করোনা কবে যে বিদায় নেবে, সেই প্রশ্নের উত্তর অধরা। কিন্তু রাজ্যে করোনার ছোবলে যেভাবে একের পর এক চিকিত্সকের মৃত্যু হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন চিকিত্সক মহল। চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতরও। সাড়ে আট মাসে কোভিডে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৮ জন চিকিৎসক। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা হাসি দাশগুপ্ত। গত বৃহস্পতিবার একই দিনে করোনায় মৃত্যু হয় তিন জন বিশিষ্ট চিকিত্সকের। কঠোর হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা না গেলে, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছে চিকিৎসক মহলের একাংশ।
এক্ষেত্রে চিকিত্সকদের মনোবল বাড়াতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নিল বিশেষ উদ্যোগ। ওয়েবিনারের মুখ্য অতিথি হিসাবে আনা হল মহারাষ্ট্রের টাস্ক ফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক যোশীকে। চিকিত্সকের উদ্দেশেই তিনি লিখলেন প্রেসক্রিপশন। যার মূল কথা, নিজের চিকিত্সা কখনই যেন কোনও চিকিত্সক নিজে না করেন!
কেন মহারাষ্ট্রের টাস্ক ফোর্সের সদস্যকেই প্রধান বক্তা করে আনা হল?
আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’এ অনন্যার কামাল! রূপশ্রীর কন্যাদের ‘ফ্রি মেকওভার’
এক্ষেত্রে বাংলার চিকিত্সক মহলের একাংশ মনে করছে, উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যেই এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যত জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে, তার ৫০ শতাংশরই বেশি ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। সেক্ষেত্রে চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ করছে সে রাজ্যের চিকিত্সক সংগঠন। তাই এই পরিস্থিতিতে বাংলার চিকিত্সকরা কীভাবে নিজেকে ভালো রেখেই লড়াই করবেন, তারই পরামর্শ দিলেন শশাঙ্ক যোশী।