‘দুয়ারে সরকার’এ অনন্যার কামাল! রূপশ্রীর কন্যাদের ‘ফ্রি মেকওভার’
রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম নিতে যাঁরা আসছেন, তাঁদের দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে এই জিনিস।
কলকাতা: তিনি সুন্দরী, বুদ্ধিদীপ্তা। শাসকদলের বিদায়ী কাউন্সিলর তিনি। রাজ্য সরকারের তরফে একুশের নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’ নামে যে কর্মসূচি শুরু করেছে, তার ‘ডিভিডেন্ড’ আরও দ্বিগুণ করতে তাতে নতুন মাত্রা দিলেন ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর, পূর্ব পৌরমাতা অনন্যা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Ananya Banerjee)। রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম নিতে যাঁরা আসছেন, তাঁদের দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে মেকওভার। সঙ্গে বিউটি টিপস।
২০১৫ সালে কাউন্সিলর হিসাবে কাজ শুরু করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি সাহিত্যের প্রাক্তনী অনন্যা। ঝুলিতে ছিল তাঁর ‘মিস ক্যালকাটা’র শিরোপা। বছর আষ্টেক একটি বিমান সংস্থায় বিমান সেবিকা পদে কাজও করেন। এরপর রাজনীতির ময়দানে। রাজনীতিতে একেবারেই অনভিজ্ঞ অনন্যাকে নিয়ে সংশয় ছিল অনেক বিশেষজ্ঞদের মনেই। কিন্তু যে দক্ষতার সঙ্গে তিন-তিনটে নির্বাচন পরিচালনা করে দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন, তা দেখে ‘মুগ্ধ’ হন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদরাও।
‘মিস বিউটিফুল স্মাইল’ অনন্যা যে ‘বিউটি উইথ ব্রেন’, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণিত হয় রাজনৈতিক মহলে। আর তাঁর কাজ ধীরে ধীরে কালিকাপুর, সার্ভে পার্ক, অজয়নগর, মুকুন্দপুর- ১৩ টি কলোনির পরিধি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়তে শরু করে জেলাস্তরেও।
অনন্যা বরাবরই নিজের কাজে ‘স্পেশ্যালিটি’ রেখেছেন। সরকারের এই কর্মসূচিতেও তাঁর ‘হালকা টাপ আপ’ রয়েছে। তাঁর এলাকার বেশিরভাগই বাসিন্দা তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে যে সব বিবাহযোগ্য মেয়েরা রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ সংক্রান্ত কাজে আসছেন, তাঁদের জন্য থাকছে ‘বিশেষ গিফট’।
রূপশ্রীর ফর্ম ফিলাপ করে আধিকারিকদের ভ্যারিফিকেশনের পর অ্যাপ্রুভ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তারপর সেই সব তরুণীদের পুরসভারই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিউটিশিয়ানদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে মেকওভার। সঙ্গে বিয়ের কিছুদিন আগে থেকে কী কী করলে বাড়বে জেল্লা, ত্বকের উজ্জ্বলতা, তারও টিপস দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিজের দাম বলতে গিয়েই সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করে ফেলেছেন মহুয়া মৈত্র, কটাক্ষ অনুপমের
বেজায় খুশি ওঁরা। যাওয়ার আগে ‘অনন্যা দি’ সঙ্গে তুলে নিচ্ছেন সেলফিও। মানুষটা কাজের, তা আগেই বুঝেছিলেন এলাকাবাসী, কিন্তু ‘কাছের’ও বটে। ওসব ভোট বৈতরণী বোঝেন না ওঁরা, সর্বদা মিষ্টি হাসি মুখে রেখে যে মানুষটাকে আপদে বিপদে পাশে পেয়েছেন, তাঁকে চেনেন একেবারে বিশ্বাসযোগ্যতার বিচারে। ‘অনন্যা দি আছেন তো!’ এটুকুতেই ভরসা পান ওঁরা।