বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সিংহ শাবক উদ্ধার, ধৃতদের বাড়িতে ইডি
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের (Belgharia Expressway) ধারে সিংহ শাবক (Lion Cubs) উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে ইডি।
কলকাতা: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের (Belgharia Expressway) ধারে সিংহ শাবক (Lion Cubs) উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে ইডি (ED)। মঙ্গলবার সকালে হাওড়ার বেরুলিয়ায় দুই অভিযুক্তের বাড়িতে যাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।
২০১৯ সালে ১ জুন। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের একটি স্করপিও গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ব্যাগবন্দি সিংহ শাবক, লেঙ্গুর। ধরা পড়েছে দুই পাচারকারীও। ওয়াসিম রহমান, ওয়াজিদ আলি এবং মহম্মদ গুলাম ঘাউস। ধৃতদের মধ্যে একজন গাড়ির চালক এবং বাকিরা পশুপাচার চক্রের পান্ডা।
তদন্তকারীদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে পশু পাচার করা হবে। বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে ঢোকার পর বর্ধমান হয়ে পশ্চিম ভারতে পশুগুলি পাচারের ছক ছিল পাচারকারীদের।
সেই খবর অনুযায়ী, সেদিন রাত ২টো নাগাদ বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ( Bengharia Expressway ) ধারে ফাঁদ পেতে বসেছিলেন বনদফতরের কর্মীরা। স্করপিও গাড়িটি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঢোকা মাত্র পিছু নেন তদন্তকারীরা। শেষমেশ ধরে ফেলেন পাচারকারীদের। ঘটনায় গোটা শহর নড়ে উঠেছিল। এ ভাবে কলকাতা থেকে সিংহ শাবক উদ্ধার হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
সিংহ শাবক পাচারের মামলায় তদন্ত করছিল ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো। তদন্তে উঠে আসে, পশু পাচারের টাকায় কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে ওয়াসিম। সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য ইডির সাহায্য নেয় ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে বিজেপি নেতার বাড়িতে পড়ল বোমা, রাজনৈতিক আকচাআকচি হাবড়ায়
তদন্তকারীরা ওয়াসিমের বাড়ি ও সম্পত্তির হদিস ইডিকে জানায়। পাশাপাশি অনুরোধ করে বিদেশের টাকা লেনদেনের কোন যোগাযোগ আছে কিনা, তা যেন ইডি খতিয়ে দেখে। সেই সূত্রেই মঙ্গলবার হাওড়া বেলিলিয়াস রোডে ওয়াসিমের বাড়ি ও হাওড়ায় তার একটি কোটি টাকার সম্পত্তিতে হানা দিয়েছে ইডি। শুরু হয়েছে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া।