Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ঠেকে শিখল পুরসভা! সোমবার থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকাকরণ শহর-জুড়ে

ভ্যাকসিন নিয়ে টানাটানির মধ্যেই টিকাকরণের দিনক্ষণ বদল করল কলকাতা পুরসভা।

ঠেকে শিখল পুরসভা! সোমবার থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকাকরণ শহর-জুড়ে
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2021 | 8:48 PM

কলকাতা: ভ্যাকসিন নিয়ে টানাটানির মধ্যেই টিকাকরণের দিনক্ষণ বদল করল কলকাতা পুরসভা। পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডে টিকাকরণের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সপ্তাহের ৬ দিনকে দু’ভাগে ভাগ করে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ। গত এক মাসে টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে একাধিক অনিয়ম এবং নীতি-বিভ্রাটের জেরেই পুরসভা এহেন সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পাশাপাশি রবিবার পুরসভায় টিকাকরণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে খবর, এখন থেকে সোম, বুধ এবং শুক্রবার পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ড ও মেগাসেন্টারে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ়ের করোনা টিকা দেওয়া হবে। বাকি তিনদিন, অর্থাৎ মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার দেওয়া হবে প্রথম ডোজ়। আগামী সোমবার থেকেই নতুন পদ্ধতিতে শহরে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে। এর মধ্যে ব্যতিক্রম থাকছে কেবল বুধবার। সেদিন দুপুর ১ টা পর্যন্ত বাচ্চাদের নানা ধরনের টিকাকরণর চলবে। তারপর ১৮ উর্ধ্বরা করোনা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।

বর্তমানে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনই দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শহরে ৪৪ লক্ষের বেশি টিকা দিয়ে ফেলেছে কলকাতা পুরসভা। যদিও গত এক মাসের মধ্যে প্রথমে একবার কোভ্যাক্সিন, এবং সম্প্রতি কোভিশিল্ডের ভাঁড়ার শূন্য হয়ে গিয়েছিল পুরসভায়। কয়েকদিন বন্ধ রাখতে হয়েছিল টিকাকরণ। মূলত পুরসভার ‘ভুল’ টিকা-নীতি এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ়ের ভারসাম্য না থাকার কারণেই এমনটা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের একাংশের আধিকারিকরা। এ বার সেই ‘ভুল’ থেকে শিক্ষা নিয়েই কার্যত নতুন পদ্ধতিতে টিকাকরণ শুরুর সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা।

যদিও পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ শুক্রবারও একটা বিষয় স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। তা হল- কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিমাণ ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে, সেটাই দেওয়া হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত না কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ মসৃণ হবে, ততদিন মাঝে মধ্যেই ভ্যাকসিনের আকাল দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই। একবার রাজ্যে ভ্যাকসিন ব্যাঙ্ক তৈরি হলে তবেই এই সঙ্কট মিটতে পারে। কিন্তু কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত যে গতিতে টিকা পাঠাচ্ছে, তাতে খুব দ্রুত এই সমস্যা মেটার নয়। আরও পড়ুন: বাড়ছে বার-রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট খোলার সময়সীমা, নতুন নির্দেশিকায় আরও ছাড় নবান্নর