‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে মানুষের উৎসাহ দেখে বিজেপির হিংসা হচ্ছে : পার্থ

"সেই সমস্ত নিন্দুকদের জানা দরকার. রাজ্য কেন্দ্রের থেকে ফসলের দাম সংগ্রহ করে না।"

'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি নিয়ে মানুষের উৎসাহ দেখে বিজেপির হিংসা হচ্ছে : পার্থ
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Dec 23, 2020 | 1:57 PM

কলকাতা: ঠান্ডায় বসে কৃষকরা আন্দোলন করছেন, সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। অথচ কৃষকের বাড়িতেই বসে ষোলো পদের ভোজ খাচ্ছেন! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র মধ্যাহ্নভোজ-রাজনীতিকে ঠিক এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সঙ্গে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি সাফল্যের ধারা জনসমক্ষে তুলে ধরেন। ‘দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে মানুষের উচ্ছাস দেখে বিজেপির ঈর্ষা হচ্ছে’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, এবার বঙ্গসফরের প্রথম দিন শাহ এক কৃষক পরিবারের ‘লাঞ্চ’ করেন। দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজ করেন বাউল পরিবারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, শাহ বঙ্গে ফিরলেই ফেরে ‘মধ্যাহ্নভোজের রাজনীতি’।  তিন বছর আগে  শাহের শুরু করা এই ‘রীতি’ নিয়ে এর আগেও একাধিকবার বিঁধেছে তৃণমূল। তবে সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের এই কটাক্ষ আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

উল্লেখ্য, দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন জারি। দু’দিন আগেই দিল্লির আন্দোলন থেকে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করছেন এক কৃষক। ২৫ দিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে সামিল ছিলেন তিনি। ৬ লক্ষ টাকা ঋণের দায় ছিল তাঁর ওপর। এই বিষয়টিকেও এবার হাতিয়ার করেছেন বিরোধীরা।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “কৃষকদের জন্য ওঁরা কুমিরের কান্না কাঁদছেন। ঠান্ডায় বসে কৃষকরা আন্দোলন করছেন। অথচ সেই কৃষকদের বাড়িতে গিয়েই ষোলো পদের ভোজ খাচ্ছেন!” এদিন রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। রাজ্যে কৃষকদের আয় ৩ গুণ বেড়েছে। ৪৯ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে সরকার। সঙ্গে এও বলেন, “সেই সমস্ত নিন্দুকদের জানা দরকার. রাজ্য কেন্দ্রের থেকে ফসলের দাম সংগ্রহ করে না।”

আরও পড়ুন: কৃষি আইন প্রত্যাহারে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি, ২ কোটি কৃষকের স্বাক্ষর সহ স্মারকলিপি জমা দেবে কংগ্রেস

এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন বিজেপিকে বিঁধছেন কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই। তখন অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সরকারকে বিঁধছেন ‘বহিরাগত তকমা’ বিরোধিতা করেই। দিলীপ ঘোষ বলেন, “মাদার টেরিজা, ভগিনী নিবেদিতা বিদেশ থেকে এসেছিলেন, তাঁরা আপন হয়ে গেলেন আর গুজরাত থেকে এলে বহিরাগত।” বলেন, “বাইরে থেকে লোক এলেই বলছে বহিরাগত। রবীন্দ্রনাথ যে “জন গন মন” লিখেছেন তাতে সারা দেশের নাম আছে।”