‘কুণালের নম্বর থেকে সুদীপ্ত সেনকে ফোন মমতার’

সিবিআই-এর বক্তব্য, ইডি যাতে কুণাল ঘোষ ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ওই বয়ান অন রেকর্ড না নেয়, তার জন্য চাপ তৈরি করেছিলেন রাজীব কুমারই।

'কুণালের নম্বর থেকে সুদীপ্ত সেনকে ফোন মমতার'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2020 | 2:35 PM

কলকাতা: সারদা তদন্তে (Sarada Cheat Fund Case) এবার সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছে সিবিআই। আর তাতেই উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সম্প্রতি বিজেপি নেতা অমিত মালব্য টুইট করে সারদাকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা সিবিআই-এর চার্জশিট প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই টুইটেই এখন তোলপাড় রাজনৈতিকমহল।

দেখা যাচ্ছে, ১২ নম্বর পাতাতে রয়েছে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। সিবিআই দাবি করছে, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক ছিল। এর পরের লাইনেই সিবিআই বলছে, সুদীপ্ত সেনের দুটি ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে গত এক বছরে একটি নম্বরে মোট ২৯৮ বার ফোন গিয়েছে, আরেকটি নম্বরে ৯ বার। তবে নম্বর দুটি কার তা খোলসা করেনি সিবিআই। এখানেই সিবিআই উল্লেখ করেছে, কুণাল ঘোষের ফোন নম্বর থেকেই সুদীপ্ত সেনকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: রাজ্যপাল-সাক্ষাতের পরই জল্পনা জিইয়ে দিল্লির পথে সৌরভ

রিট পিটিশনের ১২ নম্বর পাতাতে এর বাইরেও নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তাঁদের দাবি, ইডি যখন সারদাকাণ্ডের তদন্ত করছিল, তখন রাজীব কুমার তদন্তকারীদের প্রভাবিত করেছিলেন। কুণাল ঘোষ ও দেবযানী মুখোপাধ্যায় এই তদন্তে একাধিক প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম জানিয়েছিলেন তদন্তকারীদের কাছে। কিন্তু সিবিআই-এর বক্তব্য, ইডি যাতে কুণাল ঘোষ ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ওই বয়ান অন রেকর্ড না নেয়, তার জন্য চাপ তৈরি করেছিলেন রাজীব কুমারই।

সিবিআই ১৫ নম্বর পাতার ১৩ নম্বর পয়েন্টে এটাও উল্লেখ করেছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএম রিলিফ ফান্ড থেকে ৬.২১ কোটি টাকা একটি বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছেন। ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত ওই চ্যানেলকে প্রত্যেক মাসে ২৭ লক্ষ টাকা সিএম রিলিফ ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে।

সারদাকাণ্ডে তদন্ত এখনও চলছে। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ২৭৭ পাতার সেই আবেদনে কেন রাজীব কুমারকে হেফাজতে প্রয়োজন তা নিয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সারদাতদন্তে সিবিআই যে সব তথ্য হাতে পেয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে হলফনামায়।