Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রুটি বানাচ্ছিলেন, হাতেই ছিল বেলুন, স্বামী ঘরে ঢুকতেই ছুড়ে মারেন স্ত্রী! অতঃপর যুবককে পাওয়া গেল সেপটিক ট্যাঙ্কে

Kolkata: জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, গণেশের মৃত্যুর পর তাঁরা ভয় পেয়ে যান। এরপর দেহ লুকিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।

রুটি বানাচ্ছিলেন, হাতেই ছিল বেলুন, স্বামী ঘরে ঢুকতেই ছুড়ে মারেন স্ত্রী! অতঃপর যুবককে পাওয়া গেল সেপটিক ট্যাঙ্কে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 10:27 AM

কলকাতা: খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ভাইয়ের। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই কিছু করে থাকতে পারেন, এই সন্দেহ প্রকাশ করে শুক্রবারই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুূবকের দাদা। নিখোঁজ সেই যুবকের নিথর দেহ উদ্ধার হল শ্বশুরবাড়িরই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য কাশীপুরে (৩৫)। মৃত যুবকের নাম গণেশ দাস (৩৫)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ মৃতের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কার্তিক দাস নামে কাশীপুরের এক ব্যক্তি দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, ভাই গণেশ দাস শুক্রবার থেকেই নিখোঁজ। বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, দমদম বেদিয়াপাড়ার বাসিন্দা ময়না দাসের সঙ্গে বছর দশেক আগে বিয়ে হয় গণেশের। বিয়ের কিছু মাস পর থেকেই তাঁর ভাই গণেশ দাস শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন।

গণেশ রোজ মদ্যপান করতেন। তাই ভাইয়ের স্ত্রী ময়না দাস ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ভাইকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিগ্রহ করতেন। অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ গণেশের শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি চালায়।

পুলিশ গিয়ে গণেশের দেহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হয়েছে খুনের ব্যবহৃত অস্ত্রও। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ মৃতের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হয়েছেন গণেশ।

বৃহস্পতিবার বচসা চলছিল। নিত্যই তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত। সেদিনও বচসা চলাকালীন আচমকা বেলুন দিয়ে গণেশের মাথায় আঘাত করেন তাঁর স্ত্রী। গণেশের মাথায় গভীর ক্ষত হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তাঁর।

জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, গণেশের মৃত্যুর পর তাঁরা ভয় পেয়ে যান। এরপর দেহ লুকিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ ফেলে দেন। সঙ্গে ফেলে দেন খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও। পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা রুজু করেছে।

পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন মৃতের স্ত্রী ময়না দাস। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতের দাদা বলেন, “আমার ভাই খুবই অশান্তিতে ছিল। রোজ অশান্তি হত। নেশা করাও বাড়িয়ে দিয়েছিল ও। পরিকল্পনা করেই খুন করা হয় ওকে। এরপর দেহ লুকিয়ে দেওয়া হয়। যখন ওকে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে থাকতে বাধ্য করেছিল, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম বিপদ ঘনিয়ে আসছে।”

তবে এই ঘটনায় পিছনে কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেবলই পারিবারিক বিবাদ নাকি তৃতীয় কোনও ব্যক্তির উপস্থিতি, তা তদন্ত সাপেক্ষ। আপাতত ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: রক্তে ভাসছে স্ট্রেচার, শরীরের একাধিক জায়গায় মাংস খুবলে গিয়েছে! মধ্যরাতে কিশোরকে হাসপাতালে আনলেন তিন সঙ্গী…