Kunal Ghosh on Mukul Roy: ‘গ্রেফতার করা উচিৎ মুকুল রায়কে’, বিস্ফোরক দাবি সারদায় অভিযুক্ত কুণাল ঘোষের
Kunal Ghosh on Mukul Roy: শুক্রবার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, মুকুল রায় দলত্যাগ করেছেন এমন কোনও প্রমাণ তাঁর হাতে নেই। এরপরই টুইট করেছেন কুণাল ঘোষ।
কলকাতা : তিনি একজন প্রভাবশালী ষড়যন্ত্রকারী। অবিলম্বে মুকুল রায়কে (Mukul Roy) সারদা ও নারদ মামলায় গ্রেফতার করা উচিৎ। দলত্যাগ মামলা শেষ হতেই বিস্ফোরক দাবি জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এ দিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, মুকুলের দলত্যাগের কোনও প্রমাণ নেই। তারপরই টুইটে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। শুক্রবার টুইট করে, বিধায়ক মুকুল রায়ের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন দলকে ব্যবহার করেছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বে সরগরম বাংলার রাজনীতি। শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে ফাটল চোখে পড়ছে। তার মধ্যেই মুকুল রায়কে নিয়ে কুণালের এই দাবি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
‘মুকুল রায়কে ছাড় নয়’, সরব কুণাল
সারদা ও নারদ দুটি মামলাতেই নাম জড়িয়েছিল মুকুল রায়ের। তৃণমূলে থাকাকালীন তাঁকে সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। পরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এবার সেই সব মামলাতেই গ্রেফতার করা উচিৎ বলে দাবি জানালেন কুণাল ঘোষ।
বিধানসভা ভোটের পরই যাঁকে তৃণমূল ভবনে দেখা গিয়েছিল, সেই বিধায়কের বিরুদ্ধেই সরব হলেন কুণাল। তিনি জানিয়েছেন, মুকুলের সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদেও রাজি তিনি। ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে সেই আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছেন বলেও দাবি করেন তৃণমূল নেতা। উল্লেখ্য, এই সারদা মামলায় কুণাল ঘোষ নিজেই অন্যতম অভিযুক্ত। এই মামলায় জেলও খেটেছেন তিনি।
CBI & ED should arrest BJP leader Mukul Roy in Saradha and Narada case. I have already sent them letter praying joint interrogation with him. He is an influential conspirator. He has used different parties only for his personal protection. Mukul Roy should not be spared.
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) February 11, 2022
মুকুল আছেন বিজেপিতেই!
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের দলত্যাগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, মুকুল রায় দলত্যাগ করেছেন, এমন কোনও প্রমাণ তাঁর হাতে নেই। অর্থাৎ মুকুল রায় এক দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন, এমন প্রমাণ নেই বলেই উল্লেখ করেছেন অধ্যক্ষ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া একটি ৬৪ পাতার পিটিশন দাখিল ঘিরেই এই মামলা শুরু হয়। গত ১১ জুন এই পিটিশন দেন তিনি। এর পর ১২টি শুনানি হয়েছে এই নিয়ে। প্রত্যেকবারই মুকুলের আইনজীবী দাবি করেছেন, মুকুল দলত্যাগ করেননি। দলত্যাগ আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু।
বিধানসভা ভোটের পর ঘটা করে তৃণমূল ভবনে যেতে দেখা গিয়েছিল, মুকুল রায়কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মুকুল রায়কে তৃণমূল ভবনে যেতে দেখা গিয়েছিল। তাঁকে স্বাগতও জানিয়েছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তারপরই বারবার বিভ্রান্তিকর বিষয় সামনে এসেছে। একদিকে মুকুলের আইনজীবী দাবি করেছেন, মুকুল বিজেপিতেই আছেন। অন্যদিকে, মুকুলকে কখনও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বিপুল ভোটে বিজেপি জিতবে।’ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও মুকুল কী ভাবে এমন সব মন্তব্য করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। আর এবার সেই দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে উঠল।