Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘জাগোবাংলা’র হয়ে কেন কলম ধরলেন অজন্তা, ‘ব্যাখ্যা’ তৃণমূলের

গোটা বিতর্কে 'সাফাই' দিয়ে এ বার ফেসবুকে একটি দীর্ঘ বিবৃতি দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

'জাগোবাংলা'র হয়ে কেন কলম ধরলেন অজন্তা, 'ব্যাখ্যা' তৃণমূলের
অলংকরণ-অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 10:26 PM

কলকাতা: রাজনীতির বাইরে থেকেও গত দু’দিনে যেন বঙ্গ রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছেন প্রয়াত বাম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাস। সৌজন্যে, তৃণমূল মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’য় প্রকাশিত তাঁর ধারাবাহিক সম্পাদকীয়। ক্রমান্বয়ে পুরো বিষয়টি নিয়ে যে পরিমাণে জলঘোলা হচ্ছে, তা যে বাম বা তৃণমূল কোনও শিবিরকেই স্বস্তিতে রাখেনি, সেটা দৃশ্যতই স্পষ্ট। আলিমুদ্দিন গোটা বিষয়টি নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে। শাসকদলও চাইছে না বিতর্ক আরও গভীর হোক। খানিকটা সেই মর্মেই ‘সাফাই’ দিয়ে এ বার ফেসবুকে একটি দীর্ঘ বিবৃতি দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

বিতর্ক এতটাও বড় আকার ধারণ করত না, যদি না অজন্তা ঘনিষ্ট মহলে দাবি করতেন যে এই লেখা কোথায় প্রকাশিত হবে সেটা তাঁর জানা ছিল না। যদিও অজন্তার ব্যক্তিগত মতামত জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার “বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি” শীর্ষক লেখাটির দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ পেয়েছে। সবমিলিয়ে একটা চাপান উতোর চলছেই। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার তৃণমূল মুখপাত্র নিজের এই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বারংবার একটিই বিষয় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। তা হল–এই লেখা যাঁর কলম থেকে বেরিয়েছে, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় না দেখে, লেখার গুণমান নিয়ে কথা হোক। লেখাটিতে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, বামপন্থী নেত্রীদের কথাও যে উল্লেখ রয়েছে, সেটাও লিখেছেন রাজ্যসভার এই প্রাক্তন সাংসদ।

কিন্তু কী ভাবে এই লেখা ‘জাগোবাংলা’র পাতায় এল? আজকের পোস্টে সেই ইঙ্গিতও যেন অনেকটাই দিয়ে রেখেছেন কুণাল। তিনি লেখেন, “লেখিকার সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয়। তিনি এই লেখাটি লিখেছেন বলে আলোচনা হচ্ছিল। লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে খুবই ভাল লেখা। এটি সবার পড়ার মত। যে কোনও সংবাদপত্রের পক্ষে সুন্দর সুপাঠ্য উপাদান। লেখাটি চাই। লেখিকাকে ধন্যবাদ। তিনি দেন। এই লেখাটি “জাগোবাংলায়” প্রকাশের মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। লেখিকা যে বাম নেত্রীদের কথা লিখেছেন, সেগুলিও অপরিবর্তিত আছে। “জাগোবাংলা” হুবহু প্রকাশ করছে। লেখিকা কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেননি। আমরাও কোনও রাজনৈতিক কারণে ছাপিনি।”

তৃণমূল মুখপত্রে লেখা প্রকাশের পর বামেদের তরফে অজন্তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে, এমন ইঙ্গিতও মিলতে শুরু করেছে। তবে অনিল-কন্যার হয়ে ব্যাট ধরে কুণাল নিজের মতপ্রকাশ করে লিখেছেন, “বামশিবিরের একাংশ বিষয়টি নিয়ে একটু বেশি তৎপর বলে ইতিউতি কানে আসছে। লেখিকা ব্যক্তিগতভাবে বাম নেত্রীদের শ্রদ্ধা করেন আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও যদি তাঁর ভাল লাগে, তাতে সমস্যা কোথায়?” আরও পড়ুন: দেবাঞ্জনের দেওয়া ভ্যাকসিন আসল ছিল না নকল? অবশেষে জানাল সেরাম ইন্সটিটিউট