মুকুল-শুভেন্দুর গ্রেফতারি চেয়ে কুণালের চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার শাহের
সারদা ও অ্যালকেমিস্ট, এই দুই চিটফাণ্ড কাণ্ডে দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারির দাবি করেছিলেন তিনি। তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদ ও বর্তমান মুখপাত্রের সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন অমিত শাহ।
কলকাতা: বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) ও শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং সিবিআই-কে দিনকয়েক আগে একটি চিঠি দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সেখানে সারদা ও অ্যালকেমিস্ট, এই দুই চিটফাণ্ড কাণ্ডে দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারির দাবি করেছিলেন তিনি। তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদ ও বর্তমান মুখপাত্রের সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন অমিত শাহ।
শাহের এই প্রাপ্তি স্বীকারের চিঠিতে একটা হেস্তনেস্ত হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কুণাল ঘোষ। এদিন TV9 বাংলা-কে তিনি বলেন, “অতি সম্প্রতি আমি এমন চিঠির নথি ও ভিডিয়ো ক্লিপিংস পেয়েছি যাতে আমার মনে হয়েছে যে শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ের কাছে সারদা ও অ্যালকেমিস্ট নিয়ে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে। তাঁরা এতদিন সেগুলো দেননি। তাই তাঁদের গ্রেফতারি চেয়ে আমি একটি চিঠি লিখেছিলাম। অমিত শাহ জানিয়েছেন, তিনি সেই চিঠি পেয়েছেন। আমি আশা করি নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।”
যদিও মুকুল ও শুভেন্দু এখন বিজেপিতে। ফলে কেমন তদন্ত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন জিইয়ে রেখেই কুণাল বলেছেন, “এই নিয়ে আশঙ্কা আছেই যে তাঁরা দল বদল করে এখন নানা ভাবে আমাদের হেনস্থা করতে পারে। তবে এই বিষয়টা নিয়ে মাথা উঁচু করে আমি দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। সে জন্যই আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি। চিঠিটি যে তিনি পেয়ে জানিয়েছেন, এটা ইতিবাচক। আমি আশা করব, যাতে নিরপেক্ষভাবে একটা তদন্ত হোক।”
যদিও বিজেপির তরফে বারবারই কুণালের সমস্ত দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। তবে নিরপেক্ষ তদন্তে কোনও অসুবিধা নেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব আগাগোড়াই বলে এসেছে।
আরও পড়ুন: কমিশনের কোপ এড়াতেই ‘গুড বুকে’ না থাকা পুলিশ অফিসারদের বদলি? নবান্নর বিজ্ঞপ্তিতে জল্পনা
সারদা তদন্ত গত ডিসেম্বর মাসে বড় মোড় নেয় যখন কয়েকদিনের ব্যবধানে সুদীপ্ত সেনের দুটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। জেলে বসে লেখা প্রথম চিঠিতে সারদা-কর্তার দাবি ছিল, শুভেন্দু অধিকারী, অধীর চৌধুরী-সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা সারদা মামলায় কয়েক কোটি টাকা নিয়েছেন তাঁর থেকে। দ্বিতীয় চিঠিতে তিনি লেখেন, মুকুল রায়ের কথাতেই তিনি কলকাতা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তাঁর আত্মগোপন করার পিছনে মুকুল বড় ভূমিকা নিয়েছেন বলে চিঠিতে দাবি করেন তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সারদা-কর্তার এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন কুণাল ঘোষ নিজে। তারপর থেকেই সারদা মামলায় একাধিক নতুন তথ্য উঠে এসেছে। আক্রমণে শান দিয়েছেন কুণাল ঘোষও। অতিসম্প্রতি সুদীপ্ত সেনের সেই চিঠির তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
আরও পড়ুন: আব্বাসের অপেক্ষায় বাম-কংগ্রেসের জোট বৈঠক বাতিল, তবে জট অব্যাহত