R G Kar: ‘পেশেন্টের সঙ্গে ১০-২০ জন লোকও আসে, অনেকে মদ খেয়েও আসে, আর আমরা ডিউটিতে থাকি’

R G Kar Death: সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীর ভিড় ঠিক কেমন হয়, সেই ছবি অনেকেরই জানা। বিশেষত এমার্জেন্সিতে রোগীদের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে। মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের দাবি, রোগীর বাড়ির লোকের আসা-যাওয়ার কোনও সময় নির্ধারণ করা নেই।

R G Kar: 'পেশেন্টের সঙ্গে ১০-২০ জন লোকও আসে, অনেকে মদ খেয়েও আসে, আর আমরা ডিউটিতে থাকি'
আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসকImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2024 | 2:03 PM

কলকাতা: রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতাল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ। রাজ্যের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা এই কলেজে পড়ার সুযোগ পান। দূর থেকে রোগীরা এই হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য। কিন্তু শুক্রবার সকালে সেই হাসপাতালে যে অবস্থায় একজন মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হল, তাতে অনেকগুলো প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কলকাতা শহরের বুকে একটি সরকারি হাসপাতালে একজন মহিলা চিকিৎসকের পক্ষে নাইট ডিউটি করা কি এতটাই ঝুঁকির? হাসপাতালের ঘেরাটোপে রেখেও নিশ্চিন্ত হতে পারবেন না বাবা-মায়েরা? হাসপাতালে পরিস্থিতি নিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছেন মহিলা চিকিৎসকেরা।

শুক্রবার চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ওই ছাত্রী তথা জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুর প্রতিবাদে যখন পথে নেমেছেন সহকর্মীরা, তখন এক মহিলা পিজিটি বলেন, “হাসপাতালে কোনও নিরাপত্তা নেই। রোগীর বাড়ির লোক, কখন ঢুকছে, কখন বেরচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, তার ওপর নেই কোনও নজরদারি।”

সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীর ভিড় ঠিক কেমন হয়, সেই ছবি অনেকেরই জানা। বিশেষত এমার্জেন্সিতে রোগীদের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে। মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের দাবি, রোগীর বাড়ির লোকের আসা-যাওয়ার কোনও সময় নির্ধারণ করা নেই। তিনি বলেন, “ট্রমা কেয়ারে যখন হঠাৎ কোনও রোগী আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে ১০ জন বা ২০ জন লোক থাকেন। অনেক সময়ই তাঁরা মদ খেয়ে আসেন। আমরা পিজিটি-রা তখন ডিউটিতে থাকি। অনেকবার ডেকেও পুলিশকে পাওয়া যায়নি।”

অন্যদিকে, তদন্ত কমিটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার সহকর্মীরা। তাঁদের দাবি, সকাল থেকে প্রিন্সিপ্যালের দেখা পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে তারা।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)