RG Kar Viral Video: বহিরাগতরা কি তিলোত্তমার দেহের ঠিক পাশেই ছিলেন? জবাব দিল লালবাজার

RG Kar: এ দিন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বুঝিয়ে বলেন ঠিক কতদূর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পেরেছেন লোকজন। তিনি জানিয়েছেন, "আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম 'প্লেস অফ অকারেন্স'। এটি ৫১/৩২ ফিট। এরই একটা অংশে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘরের চল্লিশ ফিট পর্যন্ত পুলিশ সাদা কাপড় দিয়ে কর্ডন করে রেখেছিল।ঠ

RG Kar Viral Video: বহিরাগতরা কি তিলোত্তমার দেহের ঠিক পাশেই ছিলেন? জবাব দিল লালবাজার
আরজি করে কী হয়েছে?Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2024 | 8:32 PM

কলকাতা: সেমিনার রুমে যেখানে তিলোত্তমার দেহ পড়েছিল, ঠিক তার পাশে একাধিক ব্যক্তি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যার সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা। তবে এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, বহিরাগত লোকজন ওই সময় ক্রাইম স্পটে কী করছিলেন? তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে? কারণ, যে সময় খোদ তিলোত্তমার বাবা-মা নিজের মেয়েকে দেখতে ওই জায়গায় পৌঁছতে পারেননি, সেই সময় বাকি লোকজন কী করছিলেন? এই সংক্রান্ত প্রশ্ন উঠতেই সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে লালবাজার। পরিষ্কার জানানো হয়, সেমিনার হলে যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিল তার থেকে চল্লিশ ফিটের মধ্যে বহিরাগত কেউ আসেনি।

এ দিন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বুঝিয়ে বলেন ঠিক কতদূর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পেরেছেন লোকজন। তিনি জানিয়েছেন, “আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম ‘প্লেস অফ অকারেন্স’। এটি ৫১/৩২ ফিট। এরই একটা অংশে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘরের চল্লিশ ফিট পর্যন্ত পুলিশ সাদা কাপড় দিয়ে কর্ডন করে রেখেছিল। ভাইরাল ভিডিয়োতে যা দেখা গিয়েছে তা এই চল্লিশের ফিটের বাইরের যে এগারো ফিটের ভিডিয়ো। এখানে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওইখানে বহিরাগত কেউ ছিল না।” তবে এখানেও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ৫১/৩২ ফিটে সেমিনার রুমে পুলিশ নিদির্ষ্ট অকুস্থল মধ্যেই যাবতীয় ঘটনা ঘটেছিল কি না সেই বিষয়ে  নিঃসংশয় হওয়া যাচ্ছে না।

তাহলে সেমিনার হলের ভিতরের বাকি এগারো ফিটে কারা উপস্থিত ছিলেন?

ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বলেন, “পুলিশ, হাসপাতালের স্টাফ, চিকিৎসকরা ছিলেন। যে চল্লিশ ফুটের কথা বললাম সেখানে বহিরাগত প্রবেশ হওয়া সম্ভব নয়। ওই খানে পুলিশের ফোর্স লাইন করে দাঁড়িয়েছিল। এই অংশে নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকজনই প্রবেশ করতে পেরেছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তদন্তকারী আধিকারিক, ফরেন্সিক দল, এছাড়া মৃতদেহ সরানোর লোক ছিলেন। পরে পরিবারের লোকজন আসেন। এছাড়াও যাঁরা ফটোগ্রাফি করছিলেন তাঁরা ছিলেন। বাকি কেউ ওই প্রবেশ করতে পারেননি। সেমিনার হলে যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিল তার থেকে চল্লিশ ফিটের মধ্যে বহিরাগত কেউ আসেনি।”

ভাইরাল ভিডিয়োতে যে আইনজীবীকে দেখা গিয়েছে তিনি কীভাবে প্রবেশ করলেন?

ডিসি সেন্ট্রালের বক্তব্য, “একজন আইনজীবীর প্রসঙ্গ উঠছে। আপনাদের জানিয়ে দিই, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ওইখানে আইনজীবী রাখা ছিল। এটা নিয়ে ওরাই বলতে পারবেন। তবে যিনি আইনজীবী ছিলেন, তিনি হাসপাতালের অনুমতি নিয়েই সেখানে ছিলেন।” তবে বাদ বাকি যাঁদের নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, অর্থাৎ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায় কেন গিয়েছিলেন? তার উত্তর যদিও ইন্দিরা দেননি।