Leaps and Bounds: ‘কম্পিউটারে ১৬টি অজানা ফাইল ডাউনলোড হয়েছে’, ED-র বিরুদ্ধে লালবাজারে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস
ED Search Operation: এবার ইডির বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতি করার অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। অভিযোগ জানিয়েছেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার হিসেবরক্ষক হিসেবে কর্মরত চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে কিছুদিন আগেই ইডির তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি করা হয়েছে। তাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে দাবি করা হয়েছে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় সন্দেহজনক লেনদেনের হদিশ পেয়েছে তারা। আর এরই মধ্যে এবার ইডির বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতি করার অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। অভিযোগ জানিয়েছেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার হিসেবরক্ষক হিসেবে কর্মরত চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগকারীর বক্তব্য, তাঁদের কাছে সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি নতুন ফাইল চলে এসেছে। এই ফাইলগুলি তাঁদের কাছে নতুন। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই সোমবার ও মঙ্গলবার শহরের তিনটি পৃথক জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে ওই তিনটি জায়গার যোগ রয়েছে বলে দাবি ইডির। সোমবার ইডির তল্লাশি অভিযান চলেছিল এই সংস্থার অফিসেও। সেই সময়েই এই নতুন মাইক্রোসফ্ট এক্সেল ফাইল তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ চন্দন বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। অভিযোগকারীর দাবি, সোমবার গভীর রাতে ওই ফাইলগুলি ডাউনলোড হয়েছে। ২২ অগস্ট রাত ১২ টা ৭ মিনিট থেকে ১২ টা ১১ মিনিটের মধ্যে অর্থাৎ ৪ মিনিটের মধ্যে ওই ফাইলগুলি ডাউনলোড করা হয়েছে বলে দাবি অভিযোগকারীর।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের প্যাডে লেখা অভিযোগপত্রে চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইডির তল্লাশি অভিযানের সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের অফিসে তিনটি ডেস্কটপ রয়েছে। সেই তিনটি ডেস্কটপ ইডি খতিয়ে দেখেছে এবং একটি ডেস্কটপের হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে। বাকি দুটি ডেস্কটপ গতকাল অফিসে নাড়াচাড়া করে দেখার সময়েই এই ১৬টি নতুন ফাইলের বিষয় তাঁদের নজরে আসে। অভিযোগকারীর দাবি, যে সময়ে ওই ফাইলগুলি ডাউনলোড হয়েছে, তখন কম্পিউটার ছিল ইডির হাতে। সংস্থার কোনও কর্মী তখন কম্পিউটারে হাত দিতে পারেননি। অভিযোগকারীর দাবি, ওই ১৬টি ফাইল ইডির অফিসারদের মধ্যেই কেউ ডাউনলোড করেছেন এবং তার সঙ্গে সংস্থার কোনও যোগ নেই।
বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার দুপুরেই লালবাজারে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্মচারী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সাইবার বিভাগ। যদিও ঘটনায় এখনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।