Naushad Siddiqui: জেলবন্দি নওশাদ সিদ্দিকীকে ফের হেফাজতে চায় পুলিশ, এবার আবেদন লেদার কমপ্লেক্স থানার
Naushad Siddiqui: ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে বুধবারই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা : আইএসএফ (ISF) বিধায়ক সহ ধৃতদের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে বুধবারই। বর্তমানে জেলে বন্দি বিধায়ক। একদিকে, পথে নামছেন তাঁর সমর্থকেরা, অন্যদিকে অফার আসছে বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন খোদ নওশাদ (Naushad Siddiqi)। সেই আবহেই এবার নওশাদকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই নওশাদকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বারুইপুর আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে ওই থানার পুলিশ। থানায় গোলমাল করার অভিযোগে এফআইআর হয়েছে আইএসএফ বিধায়কের বিরুদ্ধে। এদিনই প্রোডাকশন ওয়ারান্টের অনুমতি চাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীকে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার হন আরও ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থক। তাঁদের তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। প্রথমে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বুধবার ফের আদালতে পেশ করা হলে, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে বিস্ফোরক দাবি করেন নওশাদ সিদ্দিকী। প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তিনি চীৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমার কাছে অফার এসেছে, ভয়ও দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমার লড়াই চলবে। সমাজ সংস্কারের লড়াইতে নেমেছি। সেই লড়াই জারি থাকবে।’ কার অফার? কেই বা ভয় দেখাচ্ছে? তা অবশ্য বলেননি নওশাদ।
আদালতে সরকারি আইনজীবী দাবি করেছেন, নওশাদের মোবাইল চ্যাট থেকে নাকি হাওয়ালা যোগের খোঁজ মিলেছে। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে টাকার অঙ্ক নিয়ে কথা হয়েছে, এমনকী নির্বাচন কমিশনের কাকে কোথায় সরাতে হবে, তা নিয়েও পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে দাবি আইনজীবীর। এরই মধ্যে নতুন মামলা সামনে আসছে বিধায়কের বিরুদ্ধে।
তবে বিধায়কের জেল হেফাজত হওয়ায় ফের পথে নামতে চলেছেন আইএসএফ সমর্থকেরা। একটানা কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। বিধায়কের জামিন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।