জোটের ভাগ্য ঝুলে অধীর-গড়ে, ‘আত্মত্যাগ করতে হবে’, মনে করালেন মান্নান

'আত্মত্যাগ করতে হবে' এটা বলেই কার্যত মান্নান বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে না চেয়েও মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু আসন তাঁরা ছাড়বেন।

জোটের ভাগ্য ঝুলে অধীর-গড়ে, 'আত্মত্যাগ করতে হবে', মনে করালেন মান্নান
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Feb 18, 2021 | 10:24 PM

কলকাতা: জোটের ভাগ্য এখনও ঝুলছে মুর্শিদাবাদের সুতোয়। দফায় দফায় বৈঠক ও আলোচনার পর জোট নিয়ে ফয়সালা হয়ে গেলেও কে কত আসন নিল, তা এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। অন্যদিকে, আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টকেও (Indian Secular Front) কম গুরুত্ব দিচ্ছে না বাম-কংগ্রেস। ফলে তাঁর দলকেও যাতে সম্মানজনক আসন ছাড়া হয় তা সেটা নিশ্চিত করতে চাইছেন জোটসঙ্গীরা। যে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ দিন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “অনেক আত্মত্যাগ করতে হবে সবাইকে।”

মান্নান ভুল কিছু বলেননি। ‘আত্মত্যাগ’ তো করতেই হবে। জোটের লড়াইতে আব্বাসকে পাশে পাওয়ার জন্য কংগ্রেসকে যেমন ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, তেমনই সিপিএমকেও তা করতে হবে। কিন্তু আব্বাসের কিছু ‘আবদার’ গলায় কাঁটার মতো বিঁধছে কংগ্রেসকে। কেননা, ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট মুর্শিদাবাদের এমন কিছু আসন দাবি করছে, যেখানে গতবার কংগ্রেস জয়লাভ করেছিল। এমনটাই খবর সূত্রের। এ বাদে মালদা ও উত্তর দিনাজপুর নিয়ে যে জট লেগেছিল তা কিছুটা কেটে গিয়েছে। তবে অধীর-গড়ে এখনও আসন ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘আত্মত্যাগ করতে হবে’ এটা বলেই কার্যত মান্নান বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে না চেয়েও মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু আসন তাঁরা ছাড়বেন।

মান্নানের কথায়, “আলোচনার উপসংহার চলছে। অনেক স্যাক্রিফাইস করতে হবে সবাইকে। স্বাস্থ্যকর আলোচনা চলছে।” তবে কিছুটা অনুযোগের সুরে তিনি বলেন, “সিপিএমের সমস্যা হচ্ছে। শরিকদের নিয়ে চলতে হবে। ভাগাভাগির পরে ওরা আসন চাইছে। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। সবাই সব ছাড়বে। আমাদের লড়াই বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়। মানুষকে ভাল রাখার লড়াই।”

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে এখনও বাড়ি ফেরেননি দীপক, পথ চেয়ে বসে সরস্বতী

ত্যাগ স্বীকারে রাজি সিপিএমও। সূত্রের খবর, সিপিএম মুর্শিদাবাদে তাদের শরিক আরএসপি-কে আসন ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে। তার বদলে বরাহনগরের আসনটি তারা চেয়েছে। তবে বেশ কিছু আসন মাথাব্যথার কারণও হয়ে রয়েছে। যেমন উত্তর ২৪ পরগনার একটি আসন নিয়ে গতকাল আলোচনা চলার সময় দুই তরফে উত্তেজিত বাক্য বিনিময় হয়। কালচিনির আসন নিয়েও দোটানা রয়েছে। আইএসএফ আবার জানিয়ে দিয়েছে, মুর্শিদাবারের কাঙ্খিত আসন না পেলে তারা জোটে থাকার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখবে।

সিপিএম যে সর্বাত্মকভাবে এই জোট চাইছে তা অবশ্য আরএসপি-কে মুর্শিদাবাদে আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট। গতকাল রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত নওসাদ সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠকও করেন সিপিএম নেতৃত্ব। তবে কংগ্রেস কী করবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও ফয়সালা নেওয়া হয়নি। যে কারণে জোটের বৃত্ত সম্পূর্ণ হওয়া এখন মুর্শিদাবাদের উপরই নির্ভর করছে।

আরও পড়ুন: ভোটের আগে কড়া নজর অনুপ্রবেশে, বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক শাহের