Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

MAKAUT: ‘নাটক-প্রজেক্ট নয়’, অধ্যাপিকা পায়েল ও সেই ছাত্রের ‘বিয়ে’ নিয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বেরল নেপথ্যের কাহিনী, শাস্তির মুখে অধ্যাপিকা

MAKAUT: এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি অধ্যাপিকার সমস্ত দাবি খারিজ করেছে।  রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে, "এটা ড্রামা বা প্রজেক্ট নয়।" জানা যাচ্ছে, অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটি পদক্ষেপ করবে।

MAKAUT:  'নাটক-প্রজেক্ট নয়',  অধ্যাপিকা পায়েল ও সেই ছাত্রের 'বিয়ে' নিয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বেরল নেপথ্যের কাহিনী, শাস্তির মুখে অধ্যাপিকা
সেদিন ক্লাসরুমে কী ঘটেছিল? Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2025 | 10:09 PM

কলকাতা:  প্রথম বর্ষের ছাত্রের হাতে ক্লাসরুমেই সিঁথিকে সিঁদুর পরে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ম্যাকাউটের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ। শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন ম‍্যাকাউটের ‘বিয়ে করা’ অধ‍্যাপিকা। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাঁকে ছুটিতে পাঠায় কর্তৃপক্ষ। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি অধ্যাপিকার সমস্ত দাবি খারিজ করেছে।  রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে, “এটা ড্রামা বা প্রজেক্ট নয়।” জানা যাচ্ছে, অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটি পদক্ষেপ করবে।

ঠিক কী হয়েছিল সেদিন ক্লাসরুমে? তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী। TV9 বাংলাকে তিনি ফোনে বলেন, “প্রাথমিক রিপোর্টটা আমার হাতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন, এটা কোনও ড্রামা নয়, এটা কোনও সাইকো ড্রামা নয়, এটা কারিকুলামের যে পার্ট, তেমনও নয়। এটা নিছক একটা তামাশার জিনিস, সেটাই করেছেন উনি।” তাহলে প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় তামাশার জায়গা? ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, “অধ্যাপিকার ভার্সনটা নেওয়া হয়নি। ওঁর বক্তব্য আগামী সপ্তাহে রেকর্ড করা হবে। আসলে এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সাধারণভাবেই যিনি বিভাগের প্রধান, এই নিয়ে তামাশা করবেন, পড়াশোনার সাংঘাতিক ক্ষতি হওয়াই স্বাভাবিক। আর যেভাবে এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ল, আমাদের একটা ডিসিপ্লিনারি কমিটি করতে হবে। সেই কমিটির সামনে আমি সমস্ত রিপোর্টগুলো দেব। কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেয়, সেই হিসাবেই পদক্ষেপ করা হবে।”

প্রসঙ্গত, গত দুদিন ধরে ম্যাকাউটের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাসরুমে ‘বিয়ে’ বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই নিয়ে প্রথম থেকেই দু’ধরনের বক্তব্য উঠে আসছিল। এক, অধ্যাপিকার বক্তব্য, যে সেটি ফ্রেশার্সের নাটকের একটি ক্লিপিংস, যা ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাল করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের বক্তব্য, যা হল একটি কারিকুলামেরই একটি পার্ট। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্ট স্পষ্ট করল, এটা ড্রামা বা প্রজেক্ট নয়।