Mamata in Jago Bangla: সিপিএম বন্ধু না শত্রু! ২১-এর সকালেই অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা

Mamata attacks CPIM: শাসক দলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'য় বিরোধী জোটের পক্ষে সমর্থন চাইলেও তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্ট করে দিলেন, ৩০ বছর আগের ক্ষোভের আগুন এখনও নেভেনি।

Mamata in Jago Bangla: সিপিএম বন্ধু না শত্রু! ২১-এর সকালেই অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা
জাগো বাংলায় মমতার প্রতিবেদনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2023 | 11:41 AM

কলকাতা: যে দলের সরকারকে সরিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আজ তারাই ‘সঙ্গী’ হয়েছেন মমতার! বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠকের পর থেকেই এই সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। নবগঠিত বিজেপি বিরোধী জোট INDIA-য় ২৬টি দলের মধ্যে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে বামেদের সবথেকে বড় শরিক দল সিপিএম। তবে কি রাজ্যেও মিটে গেল ‘শত্রুতা’? ২১-এর সকালে আরও একবার রাজনৈতিক মহলের চর্চায় সেই সমীকরণ। শাসক দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় বিরোধী জোটের পক্ষে সমর্থন চাইলেও তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্ট করে দিলেন, ৩০ বছর আগের ক্ষোভের আগুন এখনও নেভেনি।

১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই যখন পুলিশের গুলিতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল, আহত হয়েছিলেন মমতা, রাইটার্সে তখন বাম সরকার। তাই ২১-এর সকালে সিপিএম-কে তুলোধনা করতে ছাড়েননি মমতা। ‘জাগো বাংলা’য় প্রকাশিত কলামে একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিঁধেছেন লাল শিবিরকে। সেদিনের ঘটনার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি মমতা দাবি করেছেন, বর্তমানে সেই শক্তিই নতুন চেহারায় উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।

“একদিন ওরা লাঠি-সড়কি-বন্দুক নিয়ে আমাদের পথে মেরেছিল। আজ ওরা ক্যামেরা-কলম নিয়ে আমাদের আবার মারতে চায়। সেদিনও ছিল মুষ্টিময় স্বার্থাণ্বেষীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের লড়াই। আজও তাই।” মমতার লেখা এই কয়েকটি লাইন পড়লেই বোঝা যাবে, একেবারে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি রাজ্যে বামফ্রন্ট তথা সিপিএমের সঙ্গে সমীকরণটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। অথচ এর ঠিক কয়েকটি লাইন পরই তিনি উল্লেখ করেছেন বিজেপিকে মসনদ থেকে সরাতে প্রস্তুত INDIA জোট।

জোটের বর্ণনা করতে গিয়ে মমতা লিখেছেন, ‘উদারচেতা, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির ধারক ও বাহক হিসেবে ২৬টি দল একত্রিত হয়েছে।’ যে দলকে স্বার্থাণ্বেষী বলে আক্রমণ, সেই দলকে নিয়ে তৈরি জোট আবার মমতার কথাতেই উদারচেতা! এই সমীকরণ নিয়েই প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।

সিপিএম-ও ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে, এ রাজ্যে ‘প্রতি ইঞ্চিতে’ বুঝে নেওয়া হবে তৃণমূলকে। মুখপত্র গণশক্তিতে তারা উল্লেখ করেছে সে কথা। উল্লেখ্য, এই সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।