Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata Banerjee on Anubrata: অনুব্রত বেরিয়ে আসবে… তাঁকে ভুললে চলবে না: মমতা

Mamata Banerjee on Anubrata: গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল জেলে ছিলেন তিনি। পরে ইডি-র মামলায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় তিহাড়ে। বর্তমানে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও রয়েছেন তিহাড় জেলে। বারবার জামিনের আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

Mamata Banerjee on Anubrata: অনুব্রত বেরিয়ে আসবে... তাঁকে ভুললে চলবে না: মমতা
জেলবন্দি অনুব্রত প্রসঙ্গে মমতাImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2024 | 6:41 PM

কলকাতা: জেলযাত্রার প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। অনেকেই ভেবেছিলেন বীরভূম তথা বাংলার রাজনীতিতে ক্রমে আবছা হয়ে যাবেন একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন কেষ্ট। তিহাড় জেলে থাকলেও কালীঘাটের বৈঠকে তাঁর নাম বলতে ভুললেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বীরভূমের সংগঠন নিয়ে কালীঘাটে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। উপস্থিত ছিলেন দলের সাংসদ সহ জেলার অন্যান্য নেতারাও। এদিন জেলার সংগঠনে বড় রদবদল করেছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিয়েছেন, জেলে থাকলেও অনুব্রত আছেন তাঁর জায়গাতেই।

গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন তিনি। জেলে রয়েছেন তাঁর মেয়ে সুকন্যাও। গরু পাচারের সঙ্গে তাঁর যোগ থাকার কথা উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার চার্জশিটেও। কিন্তু অনুব্রতর জন্য বারবরা সওয়াল করতে শোনা গিয়েছে মমতাকে। একটি সভায় গিয়ে মমতা বলেছিলেন, ‘অনুব্রত জেল থেকে বেরলে তাঁকে বীরের সম্মান দিতে হবে।’ লোকসভা ভোটের আগে সে কথাই কার্যত আর একবার মনে করালেন মমতা।

মঙ্গলবার বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় জানান, অনুব্রতকে ভুললে চলবে না, এমন বার্তাই দিয়েছেন মমতা। মমতা এদিন বৈঠকে অনুব্রতর জেলমুক্তি নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। অনুব্রত যে শীঘ্রই বেরিয়ে আসবে, সে কথা নেত্রী বলেছেন বলে দাবি শতাব্দীর। সেইসঙ্গে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, জেল থেকে বেরলে অনুব্রতকে যোগ্য সম্মান দিতে হবে। তাঁর তৈরি করা সংগঠন যেন কেউ ভুলে না যায়, সেই বার্তাও দিয়েছেন মমতা।

শতাব্দী রায়ের দাবি, অনুব্রত বেরলে যাতে তাঁর জায়গা তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হল, সেটা মাথায় রাখতে হবে বলে দলের নেতাদের বার্তা দিয়েছেন মমতা। উল্লেখ্য, এই বীরভূমের জেলা সভাপতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু নিছকই একটা পদাধিকারী নয়, তাঁর অঙ্গুলিহেলনে কার্যত চলত গোটা জেলা। এদিন বীরভূমের জন্য মমতা যে নতুন কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছেন, তাতেও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের জায়গা দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছে রাজৈনতিক মহল। কোর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন কাজল শেখ, যিনি কেষ্ট-বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলেই পরিচিত বীরভূমে।