এখনও মেলেনি সেনার অনুমতি, ধরনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মমতা
ধরনাস্থলে একা বসে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কলকাতা: সেনার অনুমতি মেলেনি। তবু গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু এই এলাকা সেনাবাহিনীর আওতাধীন। তাই নিয়ম অনুযায়ী, এখানে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গেলে সেনার অনুমতি প্রয়োজন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ নাগাদ তৃণমূলের তরফে একটি আবেদন এসে পৌঁছয় সেনাবাহিনীর কাছে। তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। এদিকে ধরনাস্থলে অবস্থানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর এই অবস্থানে অভিনবত্ব। কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একাই বসে রয়েছেন গান্ধী মূর্তির সামনে।
সোমবারই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী কোনওরকম নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক বলে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতেই টুইটারে জানান, মঙ্গলবার তিনি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসছেন।
সেইমতোই এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই ধরনাস্থলে পৌঁছে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই স্থান যেখানে নিজের রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার বহু আন্দোলনকে সংগঠিত করেছেন মমতা। তবে এবার সকলকে চমকে দিয়ে একেবারে একা সেখানে পৌঁছন তিনি। হুইলচেয়ারটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে সরে যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তিনি।
একদিকে এই দৃশ্য যেমন বিরল, তেমনই এর রাজনৈতিক তাৎপর্যও যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখানে যদি মঞ্চ বেঁধে প্রচুর লোকজন নিয়ে মমতা ধরনায় বসতেন, তা হলে কমিশনের তরফে দাবি উঠতে পারত, তাদের নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে। জনসভা না করলেও অবস্থানসভা করছেন। সেই অভিযোগের আঙুল যাতে না ওঠে, সে কারণেই তৃণমূল নেত্রী এই ‘স্ট্র্যাটেজি’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।