Mamata Banerjee’s Family’s Property: সামাজিক কাজ না ব্যবসা? কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের উৎস কী? প্রশ্ন উঠল আদালতে
Calcutta High Court: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সম্পত্তি কী ভাবে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।
কলকাতা : বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। শুধু আয়ের উৎস কী জানতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে যে মামলা হয়েছে, তাতে সওয়াল করতে গিয়ে এমনটাই বললেন মামলাকারী। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এই জনস্বার্থ মামলা করেছেন। মামলাকারী বিজেপি সক্রিয় কর্মী, তাই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিপক্ষের আইনজীবী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাদে পরিবারের অন্যান্যদের সম্পত্তি নিয়ে সওয়াল-জবাব হয় এ দিন। মামলাকারী এ দিন মমতার ভ্রাতৃবধূ তথা কলকাতা পুরসভার অন্যতম কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ করা হয়, কাজরী কখনও নিজেকে সমাজকর্মী বলে উল্লেখ করেছেন, আবার কখনও নিজেকে ব্যবসায়ী বলেছেন। আসল উৎস কোনটা, জানতে চান মামলাকারী।
এ দিকে, বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের তরফের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না। আইনজীবীর দাবি, যিনি মামলা করেছেন তিনি বিজেপি কর্মী, তাই গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেন গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সে ব্যাপারে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। ১১ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২৮ নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই মামলা প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা যে সব জমিতে রয়েছেন তা আসলে রানি রাসমনির সম্পত্তি। তাঁরা ঠিকা প্রজা হিসেবে রয়েছেন সেখানে। পরিবারের বাকিদের সঙ্গে তাঁর উৎসব অনুষ্ঠান ছাড়া যোগাযোগ হয় না বলেও উল্লেখ করেছেন। এই মামলায় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেআইনিভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মমতার দাবি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর সম্পত্তি গুঁড়িয়ে দিতেও আপত্তি করবেন না তিনি। তবে এটাই প্রথমবার নয়, এর আগে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার পরও তাঁর সম্পত্তি নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল।