Manik Bhattacharya: কখনও চিন, কখনও মলদ্বীপ, ভট্টাচার্য পরিবারের ৫ কোটির বিদেশ ভ্রমণের টাকা কোথা থেকে এল?
Manik Bhattacharya: লন্ডনে মানিক ভট্টাচার্য বা তাঁর ছেলে সৌভিকের কোনও সম্পত্তি আছে কি না, তা জানতে তৎপর ইডি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
কলকাতা : পেশায় ছিলেন অধ্যাপক। পরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ পান মানিক ভট্টাচার্য। শাসক দলের টিকিটে জিতে বিধায়কও হয়েছিলেন তিনি। তাঁর সম্পত্তির যে হিসেব সামনে আনছে তদন্তকারীরা, তা অবাক করবে অনেকেই। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মিলেছে কোটি কোটি টাকার হদিশ। বিদেশে সম্পত্তি থাকার প্রশ্নও উঠেছে। আর বিদেশ সফরের খরচ শুনলেই বোঝা যায় কার্যত বিলাস বহুল জীবন কাটাতেন প্রাক্তন অধ্যাপক। বুধবার মানিকের স্ত্রী ও পুত্রের জেল হেফাজত হওয়ায় এখন প্রায় পুরো ভট্টাচার্য পরিবার জেলবন্দি।
ইডি এদিন আদালতে জানিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে মানিক ভট্টাচার্য সপরিবারে অন্তত ২০ বার বিদেশযাত্রা করেছেন। কখনও চিন, কখনও মলদ্বীপে গিয়েছেন তাঁরা। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউকে, ইউরোপ, মালয়েশিয়ার মতো একাধিক দেশের ভ্রমণ করেছেন মানিক। এইসব সফরে ৫ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর এই ৫ কোটি টাকা নাকি কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়নি। ফলে ইডি- র সন্দেহ এই টাকা দুর্নীতির।
এদিকে, লন্ডনে মানিক ভট্টাচার্য বা তাঁর ছেলে সৌভিকের কোনও সম্পত্তি আছে কি না, তা জানতে তৎপর ইডি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। বুধবার এ ব্যাপারে সৌভিককে বেশ কিছু প্রশ্নও করা হয়। যদিও তাঁর ব্যাখ্যা বিদেশে কোনও বাড়ি নেই তাঁর। পড়াশোনার সূত্রে বোর্ডিং-এই থাকতেন তিনি।
উল্লেখ্য, এদিন মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁদের নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগ ছিল বলে দাবি করেছে ইডি।