Jyotipriya Mallick: বালু বলেছিলেন ‘বাকিবুরকে চিনি না’, এদিকে বোমা ফাটিয়ে দিলেন মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক
Bakibur Rahaman: অমিত দাসের বক্তব্যের সত্যতা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন। তবে নিঃসন্দেহে বালুর আপ্তসহায়কের এমন বক্তব্যে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, বাকিবুর গ্রেফতার হওয়ার পরই যখন বালুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন সামনে আসে, সে সময় সমস্ত দাবি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বালু মল্লিক।
কলকাতা: একজন প্রাক্তন, অন্যজন বর্তমান। দফায় দফায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দুই আপ্ত সহায়ককে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর একযোগে ১২ জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। তালিকায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি, তাঁর বর্তমান ও প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বাড়িও ছিল। সেই অভিযানে প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের হাওড়ার বাড়ি থেকে একটি মেরুন ডায়েরি উদ্ধার হয় বলে ইডি সূত্রে খবর। যে ডায়েরি উল্লেখ ছিল ‘বালু দা’র। ইডি সূত্রে খবর, বর্তমান আপ্তসহায়ক অমিত দে ইতিমধ্যেই সমস্ত অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া। তিনি ইডিকে জানিয়েছেন, লেনদেন সংক্রান্ত যা কিছু কোনওটাই তাঁর সময়ে হয়নি। প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের সময়ে ঘটেছে। এবারও আরও মোড় ঘোরানো তথ্য অমিত দাসের বক্তব্যে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অমিত জানান, বাকিবুর রহমানের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খুবই ভাল সম্পর্ক। সম্প্রতি বনদফতরেও বালুর সঙ্গে দেখা করতে যান বাকিবুর।
অমিত দাসের বক্তব্যের সত্যতা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন। তবে নিঃসন্দেহে বালুর আপ্তসহায়কের এমন বক্তব্যে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, বাকিবুর গ্রেফতার হওয়ার পরই যখন বালুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন সামনে আসে, সে সময় সমস্ত দাবি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বালু মল্লিক। বালু বলেছিলেন, “আমি বাকিবুরকে চিনি না। বাকিবুরকে আমি কোনওদিনই দেখিনি। সব বাজে কথা বলা হচ্ছে।”
অথচ বালুর আপ্তসহায়ক দাবি করছেন, রেশন ডিলার বাকিবুর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রীর অফিসে পর্যন্ত গিয়েছেন। আজ শনিবারও বালুর আপ্তসহায়ক অমিতকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসকেও। তবে এই মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, দেখা যাচ্ছে, যাঁদের ভরসায় মন্ত্রী ঘুঁটি সাজিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের বয়ানেই বিড়ম্বনা বাড়ছে বালুর।