MLA Hostel: কলকাতায় বিধায়ক-হস্টেল থেকে এক বিধায়ক-ঘনিষ্ঠের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, সাতসকালে বড় খবর
MLA Hostel: আজ ভোর ৫ টা নাগাদ বিধায়ক হোস্টেলের নীচে দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা,উপস্থিত ডেপুটি কমিশনার পুলিশ
কলকাতা: এমএলএ হস্টেল থেকে দেহ উদ্ধার। শনিবার সাত সকালে এক বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এমএলএ হস্টেলে। আজ ভোর ৫ টা নাগাদ এমএলএ হস্টেলের ২ নম্বর গেটের ক্যাম্পাসে ঝুপ করে কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ শোনা যায়। খোঁজ করে দেখা যায় ৪১৯ নম্বর ব্যালকনির নীচে মাটিতে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীব লোচেন সোরেনের নিরাপত্তারক্ষীর দেহ উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃতের নাম জয়দেব ঘড়াই। তিনি রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। আসনে ফরেনসিক টিমের বিশেষজ্ঞরাও। দেহটি আপাতত উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু, কীভাবে পড়ে গেলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী, নাকি তাঁকে কেউ ওপর থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ফরেনসিক টিম দুর্ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ডেপুটি কমিশনার পুলিশ।
এমএলএ হস্টেল একটি হাইসিকিওরড জোন। সেখানে কীভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। এখন হস্টেল চত্বর ঘিরে ফেলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “পরশু দিন ওই বিধায়ক এসেছেন। ওই বিধায়কের সঙ্গেই হস্টেলে এসেছেন। তারপর ভোরবেলায় এই ঘটনা। এটা একটা দুর্ঘটনাও হতে পারে। তবে পুলিশ তদন্ত করছে।” তবে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটাকে দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। রাজ্য পুলিশে কর্মরত ছিলেন। বাকি তদন্ত যত এগোবে, বোঝা যাবে।