SSC Recruitment Scam : বিকৃত OMR শিটে আরও কোণঠাসা চাকরিপ্রাপকরা, মামলা খারিজ বিচারপতি বসুর

SSC Recruitment Scam : “হিতে বিপরীত হবে”, বিকৃত OMR শিটে মামলাকারীদের সতর্ক করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

SSC Recruitment Scam : বিকৃত OMR শিটে আরও কোণঠাসা চাকরিপ্রাপকরা, মামলা খারিজ বিচারপতি বসুর
বিচারপতি বসু (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2023 | 10:21 PM

কলকাতা : নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে আগেই রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই। সেই অনুযায়ী বিকৃত ওএমআর শিটগুলি জনসমক্ষে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎগঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এবার নবম-দশম নিয়োগে বিকৃত OMR শিটে চাকরিপ্রাপকরা আরও কোণঠাসা। বিকৃত OMR শিটে চাকরিপ্রাপকদের মামলা খারিজ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে ওএমআর শিট (OMR Sheet) বা উত্তরপত্র প্রকাশ করায় সামাজিক সম্মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৩ জন শিক্ষক। যদিও তাঁদের আবেদন খারিজ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট উল্লেখ করে বলেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোলমাল পাকাতেই এই ধরনের আবেদন করা হয়েছিল। প্রত্যেক মামলাকারীকে ১ টাকার প্রতীকী জরিমানাও করা হয়। এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতোই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও মামলা খারিজ করলেন।

শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু তাঁর পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট প্রশ্ন করে বলেন, “এসএসসি-র সাইটে প্রকাশিত বিকৃত OMR শিট আমার নয়, কেন বলতে পারছে না মামলাকারী চাকরিপ্রাপক? এই প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন বিকৃত OMR এ চাকরিপ্রাপকরা। কেন আশ্রয় নিতে হচ্ছে আদালতে চলা মামলার ভবিষ্যতের দিকে? সিবিআই তদন্তে  সিঁদুরে মেঘ না দেখলে বিকৃত OMR শিটে চাকরিপ্রাপকরা কেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ?” তাঁর আরও প্রশ্ন, “যতক্ষণ না বিকৃত OMR শিটের চাকরিপ্রাপক বলবে এসএসসি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিকৃত OMR শিট তাঁর, হাইকোর্ট কেন তাঁর আবেদন বিবেচনায় আনবে?” বিচারপতির দাবি, “এমন আবেদন বিকৃত OMR শিটে চাকরিপ্রাপকদের হিতে বিপরীত হবে।” 

একই রকমের আবেদন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে হওয়ার পরেও তা নিয়ে বিস্তর শোরগোল হয়েছিল। মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ১ টাকা জরিমানা করে সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ হয়েছে, যা এখন বিচারাধীন। এই অবস্থায় অন্য এক সিঙ্গেল বেঞ্চে (বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বেঞ্চ) একই আবেদনে আবারও মামলা। এই মামলা খারিজ করা হোক, সওয়াল সিবিআইয়ের। 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নবম-দশমের ৯৫২টি বিকৃত OMR শিট প্রকাশিত হয়। তার মধ্যে একজন ভূগোলের শিক্ষক আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁরও রোল নম্বর দিয়ে ওএমআর শিট প্রকাশ করেছে এসএসসি। এক সংস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া ওই OMR শিটের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে বলে দাবি করেছিলেন ওই শিক্ষক। যতক্ষণ না সিবিআই আদালতে আইনসঙ্গত নথি হিসেবে গ্রাহ্য হচ্ছে ওই ওএমআর শিট, ততক্ষণ তা বিকৃত বলে নিশ্চিত করা যায় না। এই দাবিকে সামনে রেখেই আদলতের হস্তক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তার সুরে সুর মিলিয়েছিলেন আরও ১২ শিক্ষক।