Enforcement Directorate: তাপসের মহিষবাথানের অফিসে চাকরি করতেন কামদুনির মৌসুমী কয়ালও, সাক্ষাৎ হয়েছিল মানিকের সঙ্গেও
Recruitment Scam: মহিষবাথানের ওই অফিসে এককালে চাকরি করতেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালও। দীন দয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রোজেক্টের কাজ হত প্রায় আড়াই বছর আগে।

রঞ্জিত ধর
শনিবার মহিষবাথানে তাপস মণ্ডলের অফিসে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই অফিসে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যের আনাগোনা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। মহিষবাথানের ওই অফিসে এককালে চাকরি করতেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালও। দীন দয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রোজেক্টের কাজ হত প্রায় আড়াই বছর আগে। সেই সময় চাকরি করতেন তিনি। টিভি নাইন বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজেই জানালেন সেই কথা। সেই সময়ের অভিজ্ঞতার কথাও টিভি নাইন বাংলাকে জানান তিনি।
মৌসুমী কয়াল জানান, করোনাকালের আগে তিনি সেখানে কিছুদিনের জন্য কাজ করেছেন। সে প্রায় আড়াই বছর আগের কথা। কিন্তু সেখানে বেতন সংক্রান্ত সমস্যা হচ্ছিল বলেও জানান তিনি। সেই কারণে, প্রায় ১২-১৩ জন কর্মী সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। মানিক ভট্টাচার্যকে কি তিনি কখনও সেই অফিসে দেখেছেন? টিভি নাইন বাংলার প্রশ্নের উত্তরে মৌসুমী জানান, “আমি থাকাকালীন সেখানে মানিক ভট্টাচার্য কোনওদিন এসেছিলেন বলে মনে পড়ে না। তবে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মিনার্ভার একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেটির আয়োজন করতেন তাপস মণ্ডলই। সেখানেই অতিথি হিসেবে এসেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। ওই অনুষ্ঠানেই মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল।”
তাপস মণ্ডলের ওই অফিস থেকে ‘চাকরির ডিলিং’ হত বলে অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমী দেবী কি কখনও কোনও আর্থিক বিষয়ের কোনও কিছু টের পেয়েছিলেন? প্রশ্নের উত্তরে মৌসুমী কয়াল বলেন, “আমরা যখন ওই অফিসে ছিলাম, তখন আমাদের বেতনের সমস্যা হত। তখন আমাদের ১২-১৩ জন কর্মীকে প্রায় ৫-৬ মাস বেতন দেওয়া হয়নি। সেই সময় সত্যিই সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন এই আড়াই-তিন বছরের মধ্যে সেই অফিসে কী হয়েছে… না হয়েছে, ওখানে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, সেগুলির বিষয়ে আমরা সত্যিই অজানা।”
তবে যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার বলেই মনে করছেন কামদুনীর প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল। বলেন, “যাঁরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। অথচ সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়ে যাচ্ছে। এসএসসির যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের পাশে আমি একাধিকবার গিয়ে বসেছি। তাঁদের আন্দোলনে সামিল হয়েছি। এই লড়াই শুধু তাঁদের নয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক মানুষের লড়াই, আমাদের লড়াই।” সঙ্গে তিনি এও বলেন, “সত্যিই যদি তাপস মণ্ডল কিছু অন্যায় করে থাকে, ওনার তো শাস্তি হবে। এটাই তো স্বাভাবিক।”





