Na Bollei Noy: অপা মামলায় পার্থকে নিয়ে কড়া বার্তা তৃণমূল নেতৃত্বের! কিছু কথা ‘না বললেই নয়’

অনুব্রত মণ্ডলের তো কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট উদ্ধার হয়েছিল। মেয়ে বউয়ের নামে এতগুলো কোম্পানি। তবু কেষ্টবাবু, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ায় টাকা ধার করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

Na Bollei Noy: অপা মামলায় পার্থকে নিয়ে কড়া বার্তা তৃণমূল নেতৃত্বের! কিছু কথা 'না বললেই নয়'
না বললেই নয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2022 | 7:52 PM

যতদিন যাচ্ছে , অপাকে দেখে পথের পাঁচালির অপুর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন খবরের একটু বাইরে আছেন বলে অপাকে ভুলে যাবেন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। চারপাশে যাই দেখছেন তাঁরা , াতেই নাকি বিস্মিত, হতবাক হয়ে যাচ্ছেন। বলা ভাল দুচোখ ভরা অপার বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকছেন। অর্পিতার দুই ফ্ল্যাটে প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গেল। অপা আকাশ থেকে পড়লেন। দুজনেই বললেন ওই টাকা তাঁদের নয়। একের পর এক বাড়ি , ফ্ল্যাট, বাগান বাড়ি, কোম্পানির হদিশ পাওয়া গেল। অপার চোখে অপার বিস্ময়। কিন্তু এবার কি হবে? অর্পিতার নামে আরও পাঁচ কোটি বাহাত্তর লক্ষ টাকার হদিশ পাওয়া গেল। এর মধ্যে ২ কোটি টাকা ছিল অর্পিতার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। বাকি টাকা তাঁর নামে থাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ছিল। অ্যাকাউন্টে থাকা এই কোটি কোটি টাকা তো অপার পিছু ছাড়বে না? যদিও, জানা গেছে আজ কেঁদে কেটে একসা করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ভার্চুয়াল হাজিরায়, বিচারকের সামনে অর্পিতা ফের দাবি করেছেন, অ্যাকাউন্টে থাকা টাকাও না কি তাঁর নয়। তাঁর মতো সাধারণ মানুষের ফ্ল্যাটে ED কেন গিয়েছিল, সেটা ভেবেও না কি কূল কিনারা পাচ্ছেন না তিনি। আবার বিস্ময়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও আজ খুব কান্নাকাটি করেছেন। বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে, তৃণমূল বিধায়কদের বলে দেওয়া হয়েছে, একজন চুরি করলেও বাকিরা দোষী নয়। অর্থাত্‍ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই হলেন নন্দ ঘোষ। এটা ফের বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

শুধু তাই নয় , বিধায়কদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা কেউ পার্থ সিনড্রোমে আক্রান্ত না হন। এসব জেনেই কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চোখে জল? নাকি আশাই করেননি দল তাঁর সম্পর্কে এরকম ভাববে। সব জেনেই কি দু চোখে বিস্ময় ঝরে পড়ছে জল হয়ে ? পার্থবাবু এখন সকলের কাছে উদাহরণ। শাসক দলের কাছে পার্থবাবু পচা শামুকের উদাহরণ। বিরোধীদের কাছে সোনার ডিম পাড়া হাস। সাধারণ মানুষের কাছে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকের চরম উদারণ। আর পার্থবাবু নিজে নিজের কাছে রাজনৈতিকর চক্রান্তের শিকার হওয়ার সাম্প্রতিকতম উদাহরন। এসব বুঝতে পারছেন বলেই হয়তো পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাপুস নয়নে কান্নাকাটি করছেন। কিন্তু এখন আর কেঁদে কেটে হবেটা কী? বরং অনুব্রত মণ্ডলের মতো মানুষ কতটা বিপদে পড়েছিলেন, সেটা ভেবে বরং অবাক হতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

অনুব্রত মণ্ডলের তো কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট উদ্ধার হয়েছিল। মেয়ে বউয়ের নামে এতগুলো কোম্পানি। তবু কেষ্টবাবু, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ায় টাকা ধার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। স্ত্রীর চিকিত্সার জন্য অনুব্রত মণ্ডল ৬৬ লক্ষ টাকা ধার নিলেও, শোধ করতে পারেননি বলে CBI-কে জানিয়েছেন বীরভূমের ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য। নামে বেনামে অত কোম্পানি, জমি জমা থাকা সত্ত্বেও তাহলে কেষ্টবাবুর কী লাভ হল বলুন তো? বিপদের সময় যদি, সেই সব টাকায় হাত না দেওয়া যায়, যদি টাকা ধার করতে হয়, তা হলে তা থেকে কি লাভ ? এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করবে বলেই তো গতকাল নবান্নে যেতে চেয়েছিল বিজেপি। আর তাদের সেই আন্দোলনের ফলে একদিনের জন্য খবরের রাশটা চলে গিয়েছিল পুলিশের হাতে। যেখানে সেখানে ব্যারিকেড করে, জলকামান আর কাদানে গ্যাস ব্যবহার করে, বিজেপিকে নবান্নে যেতে দেয়নি পুলিশ।

বিজেপি নেতারা নাকি সান্ত্বনা পেতে পারেন একথা ভেবে যে, পুলিশ না কি দীর্ঘদিন খবরে থাকার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগায়নি। আজ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অবস্থা এমন হয়েছিল মানে বিজেপি কর্মীরা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, যে পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তো বলেছেন, বিজেপি কর্মীদের হামলার মুখে তিনি পড়লে, মাথায় গুলি করে দিতেন। কি বললেন, ভেবে বললেন কি? আর কষ্ট করে মারার কী দরকার। এমনিই তো মরছে সাধারন মানুষ। নাহলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক আত্মহত্যার তথ্য গোপনের অভিযোগ কেন উঠছে? এই সব কথা তো আজ না বললেই নয়। না বললেই নয়, রাত ৮.৫৭, টিভি নাইন বাংলায়