একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন দীর্ঘক্ষণ, জেলের সুপারের ঘরে চোখে চোখ রেখে ফিরহাদকে মনের জোর জোগাচ্ছেন স্ত্রী
একটা অদম্য লড়াই চলছে। সে লড়াই মনের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের। প্রেসিডেন্সি জেলের (Presidency Jail) ওপারে দাপুটে নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) মানসিক ভাবে অনেকটাই বিপর্যস্ত।
কলকাতা: একটা অদম্য লড়াই চলছে। সে লড়াই মনের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের। প্রেসিডেন্সি জেলের (Presidency Jail) ওপারে দাপুটে নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) মানসিক ভাবে অনেকটাই বিপর্যস্ত। কিন্তু তা চেহারায় যাতে ফুটে না ওঠে, তার পূর্ণ প্রয়াস করছেন পোড় খাওয়া নেতা। আর জেলের এপ্রান্ত থেকে তাঁকে মনের জোর জুগিয়ে যাচ্ছেন স্ত্রী ইসমত হাকিম (Ismat Hakim)। প্রতিদিন নিয়ম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংশোধনাগারের সুপারের অফিসে বসে ফিরহাদকে মানসিকভাবে সাহস যোগাচ্ছেন তিনি।
জেল সূত্রে খবর, ফিরহাদ এখন শারীরিকভাবে আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। তাঁর জ্বর নেই, পেটে ব্য়থাও অনেক কম। যা ক্ষত, তা কেবল মনেই। তাঁকে বেশ কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছে সে কারণেই। বৃহস্পতিবারই নবান্ন থেকে ফেরার পথে আচমকা চেতলায় ফিরহাদের বাড়ি পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদের বাড়িতে গিয়ে তিনি বলে এসেছেন, ‘ববিকে জেল থেকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব আমার’।
ন্ত্রীর মেয়ে সাব্বা হাকিমের সঙ্গে কথা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘তোমরা মন খারাপ করবে না। এটা রাজনৈতিক লড়াই। মনে জোর রাখো, ববি হাকিম জামিন পাবে।’ পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মমতা বলেছেন, “ববিকে জেল থেকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব আমার। ববি আমার দলের একনিষ্ঠ সৈনিক। ওকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘ববিকে জেল থেকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব আমার’, নবান্ন থেকে ফিরে ফিরহাদের বাড়িতে হাজির মমতা
এদিকে, আজ ফের কলকাতা হাইকোর্টে রয়েছে নারদ মামলার শুনানি। বেলা ১১ টায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল। তবে তা অনিবার্য কারণে পিছিয়ে যায়। কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতার ভাগ্য নির্ধারিত হবে। ফিরহাদ জেলে থাকলেও, বাকি তিন নেতা রয়েছেন এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। তাঁদের শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল।